দিল্লি ত্রিপুরা ভবনের ঘুঘুর বাসার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে  স্থানীয় ধান্দাবাজ নিরজ কুমার। সে মূলত ত্রিপুরা ভবনের আধিকারিক ও ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইকারী সংস্থার মিডেল ম্যান হিসাবে কাজ করে থাকেন।বিনিময়ে পেয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের কমিশন।ভবনের সঙ্গে দুর্নীতির র‍্যাকেটে জড়িয়ে আছেন ত্রিপুরা ভবনের কেয়ার টেকার হরিশ লাল।চক্রের চাইদের  সৌজন্যে দিল্লি ত্রিপুরা ভবন এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্টার,২৯ জুন।।

          দিল্লি ত্রিপুরা ভবনে চলছে হরির লুট। আভিযোগ, প্রতিমাসে ভুয়ো  কর্মীর নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কুচক্রীরা। গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ত্রিপুরা ভবনের পদস্থ কর্মকর্তারাও। এমন খবর কান পাতলেই শোনা যায় দিল্লিতে থাকা দুইটি ত্রিপুরা ভবনে। চাণক্যপুরী ও কৌটিল্যমার্গ দুইটি ভবনেই সমান্তরাল ভাবে চলছে দুর্নীতি। দিল্লির ত্রিপুরা ভবনগুলির এই দুর্নীতি সম্পর্ক অবগত হয়েছেন রাজ্যের এক মন্ত্রীও। তিনি নিজে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।এবং খুঁজে পান সত্যতা। সম্ভবত আগামী কিছুদিনের মধ্যে ত্রিপুরা ভবনের জয়েন্ট রেসিডেন্ট কমিশনার রঞ্জিত দাসকে এই বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে রাজ্য সরকার।

রঞ্জিত দাস (জয়েন্ট রেসিডেন্ট কমিশনার)।

দিল্লি ত্রিপুরা ভবনে গত পাঁচ বছর ধরে একই কোম্পানি ম্যানপাওয়ার সাপ্লাই করে আসছে।

খবর অনুযায়ী, দিল্লি ত্রিপুরা ভবনে ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকে একটি এজেন্সি। এই এজেন্সির কর্ণধার রাজেন্দ্র নাথ দাস। তিনি গত পাঁচ বছর ধরেই ত্রিপুরা ভবনে ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই করে আসছেন। প্রতিবার তার কোম্পানি বাগিয়ে নিয়ে যায় ম্যান পাওয়ার সরবরাহের বরাত। নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক
বছর টেন্ডার হওয়ার কথা। কিন্তু টেন্ডার হচ্ছে না। রিনিউ করেই রাজেন্দ্র নাথ দাসকে ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ের বরাত দিয়ে দিচ্ছে ত্রিপুরা ভবন কর্তৃপক্ষ।এটা কিভাবে সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন।

নিরজ কুমার ( দালাল)

ভবনের সঙ্গে দুর্নীতির র‍্যাকেটে জড়িয়ে আছেন ত্রিপুরা ভবনের কেয়ার টেকার হরিশ লাল।

আভিযোগ , দিল্লি ত্রিপুরা ভবনের ঘুঘুর বাসার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে  স্থানীয় ধান্দাবাজ নিরজ কুমার। সে মূলত ত্রিপুরা ভবনের আধিকারিক ও ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইকারী সংস্থার মিডেল ম্যান হিসাবে কাজ করে থাকেন।বিনিময়ে পেয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের কমিশন।ভবনের সঙ্গে দুর্নীতির র‍্যাকেটে জড়িয়ে আছেন ত্রিপুরা ভবনের কেয়ার টেকার হরিশ লাল।চক্রের চাইদের  সৌজন্যে দিল্লি ত্রিপুরা ভবন এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

হরিশ লাল (কেয়ারটেকার)

এই মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক ভাবে দিল্লির বীর টিকেন্দ্রজিৎ মার্গ ( কোটিল্য মার্গ) ও চাণক্যপুরীত্রিপুরা ভবনে মোট কর্মীর সংখ্যা ৫৯ জন। অভিযোগ,বাস্তবে দুই জায়গাতে কাজ করছে ৫১জন।

নিয়ম অনুযায়ী, ত্রিপুরা ভবনে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মিত কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এই কর্মী সাপ্লাই করে রাজেন্দ্র নাথ দাসের কোম্পানি। তথ্য মোতাবেক, এই মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক ভাবে দিল্লির বীর টিকেন্দ্রজিৎ মার্গ ( কোটিল্য মার্গ) ও চাণক্যপুরী ত্রিপুরা ভবনে মোট কর্মীর সংখ্যা ৫৯ জন। অভিযোগ,বাস্তবে দুই জায়গাতে কাজ করছে ৫১জন। বাদবাকি ৮ জনের বেতনের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রের পান্ডারা। প্রতিটি কর্মীর বেতন মাসে দেখানো হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে রাজ্য সরকারের কোষাগার গচ্ছিত হচ্ছে।

কর্মীদের বেতন মঞ্জুরিতে স্বাক্ষর করতে হয় জয়েন্ট রেসিডেন্ট কমিশনার রঞ্জিত দাসের। কিন্তু তিনি কি  জানেন না ভবনের এই দুর্নীতির উপাখ্যান?

কর্মীদের বেতন মঞ্জুরিতে স্বাক্ষর করতে হয় জয়েন্ট রেসিডেন্ট কমিশনার রঞ্জিত দাসের। কিন্তু তিনি কি  জানেন না ভবনের এই দুর্নীতির উপাখ্যান?  ত্রিপুরা ভবনের খবর, জয়েন্ট রেসিডেন্ট কমিশনারের মদতেই নাকি ভুতুড়ে কর্মীদের নামে বেতন দেওয়া হচ্ছে প্রতি মাসে।এবং এই কর্মীদের বেতনের  টাকা চলে যাচ্ছে চক্রের চাইদের পকেটে। সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরেছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার এক সদস্য। তাঁর কাছে নালিশ জানিয়েছেন ত্রিপুরা ভবনে কর্মরত একাংশ কর্মী। এরপর তিনিও বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।এবং খুঁজে পেয়েছেন সত্যতা। এখন দেখার বিষয় দিল্লি ত্রিপুরা ভবনের জয়েন্ট রেসিডেন্ট কমিশনার রঞ্জিত দাসের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় রাজ্য সরকার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *