সাইবার অপরাধের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি সহায়তা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে তিনি টোল ফ্রি নম্বর ১১২ কিংবা ১৯৩০-এ সাইবার অপরাধের অভিযোগ জানানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

আগরতলা,২৯ জুন।।
     বর্তমান সময়ে সাইবার অপরাধ একটি অন্যতম আলোচ্য বিষয়। রাজ্যের বহু মানুষ সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এ ধরনের অপরাধ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে আরক্ষা বাহিনীর কার্যপ্রণালীতেও পরিবর্তন আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। আজ অরুন্ধতীনগরের ড্রপগেইটে সাইবার ক্রাইম পুলিশ থানার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধে আরক্ষা বাহিনীকে একপ্রকার ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। এক্ষেত্রে অপরাধীদের সনাক্তকরণ খুবই কঠিন। সেজন্য আরক্ষা বাহিনীর আধিকারিক সহ অন্যান্য কর্মীদের এই ধরনের অপরাধের তদন্তের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। ইতিমধ্যেই আরক্ষা দপ্তরের অনেককেই এই বিষয়ে বহিরাজ্য থেকে প্রশিক্ষিত করিয়ে আনা হয়েছে।

সাইবার অপরাধীরা রাজ্যকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকও রয়েছে। সাইবার অপরাধীরা প্রযুক্তিকে নেতিবাচক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করছে। সাইবার অপরাধীরা রাজ্যকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। তাই আরক্ষা দপ্তরকে এ সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সচেতন ও শক্তভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সাইবার অপরাধের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি সহায়তা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে তিনি টোল ফ্রি নম্বর ১১২ কিংবা ১৯৩০-এ সাইবার অপরাধের অভিযোগ জানানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। রাজ্য সরকারও সেই দিশায় কাজ করছে। এই সাইবার ক্রাইম পুলিশ থানা দক্ষতার ছাপ রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।


অনুষ্ঠানে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ বলেন, বর্তমান বিশ্বে সাইবার অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের আরক্ষা প্রশাসনের আধুনিকীকরণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরফলে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে অপরাধের হার ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর সাইবার অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের নিকট এখন পর্যন্ত ৩২ লক্ষ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, এ.ডি.জি.পি. এম. রাজামুরুগন এবং জি. এস. রাও সহ আরক্ষা বাহিনীর অন্যান্য আধিকারিকগণ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *