আগরতলা, ১১ জুলাই।।
মুঙ্গিয়াকামী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীন স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নানাবিধ কার্যকরি ভূমিকা পালন করছে। এরমধ্যে এলাকাবাসীদের মধ্যে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি অন্যতম। এর অঙ্গ হিসেবে মুঙ্গিয়াকামী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যকর্মীরা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য শিবির, বাড়ি বাড়ি ম্যালেরিয়া সমীক্ষা সহ ম্যালেরিয়া স্ক্রিনিং কার্যক্রম করছেন। এর অধীন স্বাস্থ্যকর্মীরা ম্যালেরিয়া প্রবণ অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সচেতনতামূলক অভিযান সংগঠিত করছেন। তাতে গত ১০ জুলাই, ২০২৫ নোনাছড়া, ৩৭ মাইল, ৪৩ মাইল, পূর্ব লক্ষ্মীপুর, হাজারা পাড়া এবং হলুদিয়া ইত্যাদি এলাকার মোট ৬(ছয়)টি স্থানে ম্যালেরিয়া স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এদিন স্বাস্থ্যকর্মীরা আর.ডি.টি. কিটের মাধ্যমে মোট ৭৫ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। ম্যালেরিয়ার সনাক্তকরণে এই বিশেষ অভিযানে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ম্যালেরিয়া কিভাবে হয়, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়গুলি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তদের স্বাস্থ্যের সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন এবং সন্দেহভাজন রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের এই ধরনের উদ্যোগ এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছানোর ফলে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ম্যালেরিয়া মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে ম্যালেরিয়া প্রবণ অঞ্চলগুলির এলাকাবাসীদেরকে ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। রাজ্যেকে ম্যালেরিয়া মুক্ত করতে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরন্তরভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করে চলেছেন। আর এই কর্মযজ্ঞে রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের অধীন কর্মরত মাল্টিপারপাস সুপারভাইজর (এম.পি.এস.), মাল্টিপারপাস ওয়ার্কার (এম.পি.ডব্লিউ.), কমিউনিটি হেলথ অফিসার (সি.এইচ.ও.) এবং আশাকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করে চলেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।
