কাঞ্চনপুর ডেস্ক, ১৯ জুলাই।।
উত্তপ্ত কাঞ্চনপুর মহকুমা। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি।এক নাবালিকা অপহরণকারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে আক্রান্ত অভিবাবক । গভীর রাতে প্রকাশ্যে রাস্তা আটকে মহিলার শ্লীলতা হানির চেষ্টা, এবং নাবালিকার মায়ের উপর দুষ্কৃতিকারীদের ভয়ঙ্কর আক্রমন। ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হতে চললেও পুলিশ মামলা নিতে নারাজ। চাঞ্চল্যকর ও ন্যাকার জনক এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশের দায় সাড়া মনোভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আচমকা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছেন মহকুমাবাসী।
কাঞ্চনপুর মহকুমার দশদা রামবাহাদুর পাড়ার এক পনের বছরের নাবালিকাকে ফুসলিয়ে আটকে রাখে লক্ষন নাথ নামে এক যুবক । বুধবার চাপে পড়ে ঐ নাবালিকা মেয়েটিকে অভিযুক্তের আত্বীয়ের স্বজন কাঞ্চনপুর থানায় হাজির করে। কাঞ্চনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ উদ্যম দেব্বমা নাবালিকার মা, বাবাকে ডেকে নাবালিকাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু নাবালিকার মা, বাবা কোন প্রকার ম্যাডিক্যাল না করিয়ে মেয়েকে ফেরত নিতে অস্বীকার করেন।একই সাথে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে নাবালিকার মাতা-পিতা ও আত্মীয় স্বজন কাঞ্চনপুর থানা থেকে বেরিয়ে আসেন।
নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের কথায়, তারা কাঞ্চনপুর থানা থেকে কিছু দূর আসার পর দশদা -কাঞ্চনপুর সড়কের পূর্ত দপ্তরের কাঞ্চনপুর বিভাগীয় অফিস সংলগ্ন এলাকায় পৌচ্ছতেই এক দুস্কৃতির দল তাদের পথ আটকে হামলা চালায়। তখন ঘড়ির কাটা ১২ – ঘরে।আগে থেকেই দুষ্কৃতীর পিডাব্লিউডি এলাকায় উতপেতে বসে ছিল । নাবালিকার অভিবাবকের গাড়ি আসা মাত্র রাস্তার উপর বাইক ফেলে গাড়ি আটকটে দেয়। একে বারে হিন্দি সিনেমার কায়দায়।সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে থাকা পুরুষ মহিলা উপর নির্বিশেষে শারীরিক ভাবে হামলে পড়ে দুষ্কৃতির দল। এদের মধ্যে মহিলাদের শরীরে আঘাত করে এবং প্রকাশ্যে শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে বলে আভিযোগ।সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চনপুর থানার অভিযোগ জানানো হয়।

পুলিশ এসে দুই জনকে আটক করে। কিন্তু পুলিশ কিছু দূর যেতেই লুকিয়ে থাকা দূস্কৃতির ফের তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে হাতে থাকা মোবাইল ও গাড়ির চাবি সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পত্র। ছিনতাই করে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সমস্ত ঘটনা জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শান্তি রানী নাথ নামে এক মহিলা। অভিযুক্তরা হলো রাজেশ নাথ কৌশিক নাথ নিতীশ নাথ,পবিত্র নাথ সুবীর নাথ ও অনুপম নাথ নামে পাঁচ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শান্তি রানী নাথ নামে এক মহিলা। সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেনি। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিনতাই বাজ কৌশিক নাথকে আটক করলেও তাকে ছেড়ে দিয়েছে। খবর অভিযুক্তের ভাই টিএসআরের চাকরি করেন।এই টিএসআর জওয়ানের চাপেই পুলিশ অভিযুক্তকে ছেড়ে দিয়েছে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।একই ভাবে দীর্ঘদিন যাবত দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে কাঞ্চনপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত কাঞ্চনপুর থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে ডিভিশ এলাকায় মাতালদের আস্তানায় পরিনত হয়েছে।রাত যত গভীর হয় সম্পুর্ন এলাকা অপরাধীদের কবলে চলে যায়। প্রায় দিন পথচারীদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করে একদল দুস্কৃতি। প্রতিদিন শতাধিক দুষ্কৃতি রাতের আধারে জড়ো হয়ে নানা ধরনের চুরি , ডাকাতি সংঘটিত করে । কিন্তু পুলিশকে সব জানিয়েও কাজ হয় না । কাঞ্চনপুর শহর এলাকা সংলগ্ন হাইপ্রোফাইল এলাকায় এধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশের আস্কারা বাস্তবে ভাবিয়ে তুলেছে মহকুমাবাসীকে ।