চুরাইবাড়ি ডেস্ক ১৯ জুলাই।।
                রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে ভেঙ্গে চৌচির জাতীয় সড়ক। রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি থেকে বাগবাসা পর্যন্ত এগারো কিলোমিটার  আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের বেহাল দশায় স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ছোট, বড়ো গাড়ি চালকদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে সড়কটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়নি। মাঝেমধ্যে আংশিক সংস্কারের কাজ হলেও নিম্নমানের নির্মাণের কারণে তা বেশিদিন টিকছে না। মাত্র দুমাস পূর্বে পৃথক পৃথক দুতিনটি নির্মাণ সংস্থা কিলোমিটার প্রতি এক কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কাজ করেছিলো। এতে কাজের গুণগত মান এতটাই খারাপ ছিল যে মাত্র দু মাসের মধ্যেই সড়ক ভেঙ্গে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই জাতীয় সড়কটি ত্রিপুরার ‘লাইফলাইন’ নামে পরিচিত হলেও তার প্রতি নজর নেই রাজ্য সরকারের। রাস্তা সংস্কারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।চুরাইবাড়ি থেকে বাগবাসা পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে অবৈজ্ঞানিক ও অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পাথর ভাঙার ক্রাশার মেশিনগুলির প্রভাব পড়েছে জাতীয় সড়কে। ফলে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা দিন দিন বাড়ছে।
ট্রাক ও টমটম চালকদের অভিজ্ঞতা আরও করুণ। ট্রাকচালকরা বলেন, ত্রিপুরার একমাত্র এই জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে তাদের নাজেহাল অবস্থা। দুই ঘণ্টার রাস্তা পেরোতে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। গাড়ির মেরামত খরচ  বহুগুণ বেড়ে যায়। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পিছনেও রাস্তার খারাপ অবস্থাকে দায়ী করছেন চালকরা। মন্ত্রীরা বিএমডব্লিউ গাড়িতে চলাফেরা করায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ তাঁদের চোঁখে পড়ে না।
টমটম চালকদেরও একই অবস্থা। বৃষ্টির সময় বড়ো বড়ো গর্তে জল জমে পুকুরে পরিণত হয়, আবার প্রখর রোদে রাস্তা শুকিয়ে ধুলোবালি ময় হয়ে পড়ে, এতে যাত্রীবাহী গাড়িসহ সাধারণ পদচারী জনগণ চলাচল করতে হিমশিম খান।এতে করে বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার হার। সাধারণ জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের জয়গান গাইছেন সেখানে জাতীয় সড়কের এই ভয়ঙ্কর অবস্থায় আসল  উন্নয়নের দৃশ্য ফুটে উঠেছে। সরকার তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্থানীয়দের দাবি, ত্রিপুরার লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কটির দ্রুত এবং টেকসই সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করুক রাজ্য সরকার। নয়তো বৃহৎ আন্দোলনে নামবেন স্থানীয় বাসিন্দারা বলে জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *