জেএম হেলথ ডেস্ক,৬ আগস্ট।।
কর্নিয়াল ব্লাইন্ডনেস , যা একসময় বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে বিবেচিত হত। এখন এই কর্নিয়াল ব্লাইন্ডনেস ভারতের তরুণদের কাছে বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। দেশজুড়ে কিশোর-কিশোরী এবং তরুণদের মধ্যে অন্ধত্বের মারাত্বক আকার ধারণ করছে।
সম্প্রতি দিল্লিতে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ কর্নিয়া অ্যান্ড কেরাটো-রিফ্র্যাক্টিভ সার্জনস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।। এই সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কর্নিয়াল ব্লাইন্ডনেসের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কর্নিয়াল ব্লাইন্ডনেস প্রতিরোধে দেশ জুড়ে চক্ষু শিবির করে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কর্নিয়াল ব্লাইন্ডনেসকে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
কর্নিয়ার অন্ধত্বের চিকিৎসার জন্য ভারতের ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত।
সম্মেলনে দেওয়া তথ্য বলছে, দেশে বছরে ১ লক্ষ’র বেশি কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন।, কিন্তু বর্তমানে মাত্র ৪০ করা হয়ে থাকে।যা চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করে। এই ঘাটতির মূল কারণ হলো দাতার কর্নিয়ার অভাব, সীমিত সংখ্যক প্রশিক্ষিত কর্নিয়াল সার্জন এবং অপ্রতুল চক্ষু ব্যাংক।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন আইএসসিকেআরএস- র অবকাঠামো তৈরি করা । এই কাজে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ। তাছাড়া জনসচেতনতার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় চক্ষুদান প্রচারের উপর জোর দেওয়া।
