আগরতলা,১৫ আগস্ট।।
“আমরা চাই এক সুন্দর সমাজ, রাজ্য ও দেশ। যেখানে থাকবেনা অশুভ শক্তি ও অধর্ম। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সৎভাবে চলা ও জীবন যাপনের শিক্ষাই দিয়ে গেছেন। ” মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা শুক্রবার শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে ৫ দিনব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন। উল্লেখ্য, এই উৎসব এবছর ৭৪তম বর্ষে পা দিল। ত্রিপুরা যাদব মহাসভা এই উৎসবের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন বিগ্রহের আবরণ উন্মোচন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ত্রিপুরা যাদব মহাসভার এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, গীতা যেমন হিদুদের কাছে একটি পবিত্র গ্রন্থ তেমনি জন্মাষ্টমী উৎসবও হিন্দুদের কাছে এক পবিত্র উৎসব। গীতা গ্রন্থকে নিয়ে আজ সারা বিশ্বে গবেষণা হচ্ছে। সব অংশের মানুষ আজ গীতা পাঠ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হবার পর দেশে শান্তির বাতাবরণ তৈরী হয়েছে। আজ রাজ্য ও দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, মানব সেবাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সেবা। মানব সেবার মধ্য দিয়েই ঈশ্বর তথা ভগবানকে পাওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মন্দিরে এলে মন শান্ত হয়ে যায়। দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে আধ্যাত্মিকতার যোগসূত্র রয়েছে। আধ্যাত্মিকতার সংস্পর্শে এলে সুন্দর ও সুস্থ সমাজ গড়ে উঠে। তাই এই পথই হচ্ছে মানব সমাজের মঙ্গলের পথ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শ্রী চৈতন্য গৌড়ীয় মঠ, আগরতলা জগন্নাথ জিউ মন্দিরের ভিক্ষু ভক্তি কমল বৈষ্ণব মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা যাদব মহাসভা উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান প্রমোদ লাল ঘোষ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শ্রী চৈতন্য গৌড়ীয় মঠ, আগরতলা জগন্নাথ জিউ মন্দিরের ভিক্ষু ভক্তি কমল বৈষ্ণব মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর রত্না দত্ত, ত্রিপুরা যাদব মহাসভার সভাপতি দেবব্রত ঘোষ প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অতিথিগণ বসে আঁকো এবং কৃষ্ণ সাজের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন। অনুষ্ঠানে শিল্পীগণ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
