বলতে গেলে, গোটা গণ্ডাছড়াতে খজেন্দ্র রিয়াং এখন ত্রাস। তার বিরুদ্ধে গুচ্ছ আভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ডানা ছাঁটাই করা হচ্ছে না? কোন শক্তিতে বলীয়মান চিনেপুটি নেতা খজেন্দ্র?

ডেস্ক রিপোর্টার,২২ আগস্ট।
                 সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতি বিদ্বেষী উস্কানি মূলক পোস্ট করে এখন গন্ডাছড়ার রাজনীতির লাইম লাইটে বিজেপির রাইমাভ্যালি মন্ডলের জনজাতি মোর্চার সভাপতি খঁজেন্দ্র রিয়াং। শুধু গন্ডাছড়া নয়, রাজ্য রাজনীতির অঙ্গনে খজেন্দ্র এখন আলোচ্য বিষয়। তবে প্রশ্ন উঠছে, গায়ে জাতীয় দলের তকমা সেটে কিভাবে অঞ্চলিক দল তিপ্রামথার নেতাদের  মতো বিভাজনমূলক বক্তব্য রাখতে সাহস পান খজেন্দ্র? অবাক করার মতো বিষয় খজেন্দ্র রিয়াংয়ের এই বক্তব্যের পর নীরব বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি কেন? এই প্রশ্ন তুলছেন ভাজপার বাঙালি নেতৃত্ব।

গণ্ডাছড়াতে কান পাতলেই জাতিগত মন্তব্য ব্যতীত একাধিক দুর্নীতির উপাখ্যান শোনা যায়।আভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর রাবার মিশনের কোটি টাকার চারার চূড়ান্ত অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে খজেন্দ্র’ র নাম। আছে সরকারী জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগ।সম্প্রীতি গণ্ডাছড়া ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে থাকা সরকারি জমি ডোজার দিয়ে কেটে আত্মসাৎ করার ব্লু প্রিন্ট রচনা করেছে ভেকদারি জনজাতি উন্নয়নের ফেরী ওয়ালা বিজেপি নেতা খজেন্দ্র। জড়িত আছেন সরকারী দপ্তরের টেন্ডার দুর্নীতির সঙ্গে। ঘুরিয়ে বললে নিগোসিয়েশন বানিজ্য।

খজেন্দ্র রিয়াংয়ের এফবি পোস্ট।

বলতে গেলে, গোটা গণ্ডাছড়াতে খজেন্দ্র রিয়াং এখন ত্রাস। তার বিরুদ্ধে গুচ্ছ আভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ডানা ছাঁটাই করা হচ্ছে না? কোন শক্তিতে বলীয়মান চিনেপুটি নেতা খজেন্দ্র?
      গণ্ডাছড়া বিজেপির অন্দর মহলের প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, খজেন্দ্র রিয়াংয়ের গড ফাদার রাইমাভ্যালি মন্ডলের ৮- গঙ্গানগরের বিজেপি এমডিসি ভূমিকা নন্দন রিয়াং। এমডিসির অভয়ের বড়ি খেয়েই একের পর এক অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন খঁজেন্দ্র। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ পর্যন্ত ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন—”খঁজেন্দ্র রিয়াং একা খেলছেন না, তার পেছনে রয়েছে খোদ এমডিসি ভূমিকা নন্দন”।

ভূমিকা কি খজেন্দ্র’ র গড ফাদার?

প্রসঙ্গত,২৪- র ১২ জুলাই’র ঘটনা নিয়ে আজ পর্যন্ত মুখ খুলেনি কিংবা বাঙালিদের কোন শান্তনা দেননি এমডিসি ভূমিকা নন্দন রিয়াং এবং মন্ডল সভাপতি ধন্য মানিক্য। ব্যয় করেন নি একটি শব্দও। আভিযোগ, গণ্ডাছড়াতে বিজেপি-তিপ্রামথা ও আইপিএফটি তিনটি রাজনৈতিক দলের জনজাতি নেতারাই মহকুমা থেকে বাঙালি উচ্ছেদের সংকল্প করেছে বলেই মনে করছেন গোটা বাঙালি সমাজ।


মণ্ডল সভাপতিকে দলের নেতা – কর্মীরা ব্যঙ্গ করে ” কলাগাছ” নামে ডাকাডাকি করে।

বর্তমান নবনির্বাচিত রাইমাভ্যালি মন্ডলের সভাপতি ধন্যমানিক ত্রিপুরাকে নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। খবর অনুযায়ী, মণ্ডল সভাপতিকে দলের নেতা – কর্মীরা ব্যঙ্গ করে ” কলাগাছ” নামে ডাকাডাকি করে। দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার মতো তার কোনো দক্ষতা নেই।স্বাভাবিক ভাবেই রাইমাভ্যালী কেন্দ্রে বিজেপির সংগঠনে স্পষ্ট হয়েছে নেতৃত্ব শূন্যতা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খজেন্দ্র রিয়াং লম্বা করছে তার দুর্নীতির কালো হাত।

গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে সরকারি জমি বেদখল খজেন্দ্র’ র।

নাকি, সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে আছে? রাজ্য নেতৃত্বের উপরও বাড়ছে কর্মীদের সন্দেহ।

জাতিগত বিভাজনমূলক পোস্ট হোক বা কোটি টাকার অনিয়ম—সব কিছু প্রকাশ্যে আসার পরও রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব কেন নিশ্চুপ? নাকি, সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে আছে? রাজ্য নেতৃত্বের উপরও বাড়ছে কর্মীদের সন্দেহ।
   রাইমাভ্যালী মন্ডলের বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, এখনই দুর্নীতিবাজ খজেন্দ্র রিয়াংয়ের বিরুদ্ধে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আগামী দিনে সে  অপরাধের মহীরুহ হয়ে উঠবে । তাই খজেন্দ্র’ র ডানা ছাঁটাই না করলে রাইমাভ্যালিতে সে ভারতীয় জনতা পার্টিকে দাঁড় করাবে খাদের কিনারায়। তাতে অবশ্যই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব নেতৃত্বের কিছু আসে যায় না। কেননা ২৮- র বিধানসভা নির্বাচনেও আসনটি যে পুনরায় তিপ্রামথা দখল করবে, তা বিলক্ষণ বলা যায়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *