ইডি’ র তদন্তে উঠে এসেছে,রাজ্যের বেশ কয়েকজন আমলা উৎপল চৌধুরীকে বহি: রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো। বিনিময়ে তারা হাতে পেয়েছে কাঞ্চনমূল্য। এই সমস্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই দিনের পর দিন প্রতারণা করেছে উৎপল চৌধুরী।

ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ অগাষ্ট।।
                     আগরতলার খয়েরপুরের বাসিন্দা উৎপল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির আভিযোগ সামনে এনেছে। ইডি উৎপল চৌধুরীর বিভিন্ন ঠেকে হানা দিয়ে নগদ সাত লক্ষ টাকা, ৬০ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ জালিয়াতি সংক্রান্ত প্রচুর নথী পত্র সংগ্রহ করেছে। উৎপল চৌধুরীর এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের সাত জন আমলার বিরুদ্ধে। যাদের সঙ্গে উৎপল চৌধুরীর মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে।গত ২৬ অগাষ্ট  আগরতলা সাব জোনাল অফিসের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ত্রিপুরার চার জায়গাতে অভিযান চালায়। এবং উদ্ধার করে প্রচুর নথিপত্র। একই সঙ্গে উৎপল চৌধুরীর বিরুদ্ধে দিল্লি, হরিয়ানা এবং পশ্চিমবঙ্গে দায়ের করা বিভিন্ন  মানি লন্ডারিং মামলার তথ্যও সংগ্রহ করে ইডি। বর্তমানে উৎপল চৌধুরী অবস্থান করছে হরিয়ানা জেলে। মূলত উৎপল কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের  দায়ের করা একাধিক মামলার ভিত্তিতে ইডি তদন্ত শুরু করেছে।

।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকের জাল আই কার্ড।


ইডি’ র তদন্তে উঠে এসেছে,রাজ্যের বেশ কয়েকজন আমলা উৎপল চৌধুরীকে বহি: রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো।

ইডি’ র তদন্তে উঠে এসেছে,রাজ্যের বেশ কয়েকজন আমলা উৎপল চৌধুরীকে বহি: রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো। বিনিময়ে তারা হাতে পেয়েছে কাঞ্চনমূল্য। এই সমস্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই দিনের পর দিন প্রতারণা করেছে উৎপল চৌধুরী। ইডি  উৎপল চৌধুরীর নানান ঠেকে তল্লাশি চালিয়ে ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য দপ্তর, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর, উচ্চ শিক্ষা দপ্তর সহ বিভিন্ন অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সিল এবং ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জাল পরিচয় পত্রের হদিশ পেয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে রিয়েল এস্টেট এবং জমিতে বিনিয়োগের বিষয়ে অপরাধমূলক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে উৎপল চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

উৎপলের ঠেক থেকে উদ্ধার জাল স্ট্যাম্প।

উৎপল বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে নিজেকে কখনো ত্রিপুরা সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্তা হিসাবে পরিচয় দিয়েছে।

উৎপল চৌধুরী বহু মানুষকে তার কিছু জালিয়াতি সংস্থায় অর্থ লগ্নি করিয়েছে।আবার কখনও নিজেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার বড় কর্মকর্তা দাবি করে মানুষের সঙ্গে করেছে প্রতারণা। উৎপল বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে নিজেকে কখনো ত্রিপুরা সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্তা হিসাবে পরিচয় দিয়েছে। আবার কখনও রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ভারত সরকারের পদস্থ আমলা হিসাবেও নিজেকে জাহির করেছে। সরকারি চুক্তি পাওয়ার মিথ্যা আশ্বাসের ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে করেছে আর্থিক প্রতারণা।রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের স্কুলগুলির মিড-ডে মিলের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে উৎপল।


প্রতারক উৎপল চৌধুরী জালিয়াতি করে মেসার্স চালতাখালি স্বামীজি সেবা সংঘ নামে একটি এনজিও পরিচালনা করেছে। এই এনজিও- কে হাতিয়ার করে বিভিন্ন ব্যক্তির কালাধন বিদেশে পাচার করে সাদাধনে পরিনত করেছে। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য রয়েছে ইডির কাছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *