“মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমারঘাট মহকুমার–ফটিকরায় এলাকার একাধিক ক্লাব ট্রাক চালকদের আটকে অস্ত্রের মুখে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।এমনকি চাঁদা না দেওয়ায় কয়েকজন চালককে মারধরও করে ।ঘটনার পর বুধবার সকালে অসন্তুষ্ট ট্রাক চালকেরা একত্রিত হয়ে ৮ নম্বর আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের চুরাইবাড়ি থানাধীন খেরেংজুড়ি এলাকায় অবরোধে বসে।”
চুরাইবাড়ি ৩ সেপ্টেম্বর,৩ সেপ্টেম্বর।। চাঁদা নিয়ে রাজ্যে বাড়ন্ত নতুন কোন বিষয় নয়। ফলে এবছরও একই অবস্থা। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা আসন্ন দূর্গা পূজো উপলক্ষে চাঁদার জুলুমবাজি রুখতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেও, তা মান্যতা দিচ্ছে না একাংশ ক্লাব কর্তারা। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমায় বিভিন্ন ক্লাবের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ চালকরা। প্রকাশ্যে এসেছে গোটা ঘটনা। খবর অনুযায়ী, অভিযোগ,মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমারঘাট মহকুমার–ফটিকরায় এলাকার একাধিক ক্লাব ট্রাক চালকদের আটকে অস্ত্রের মুখে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।এমনকি চাঁদা না দেওয়ায় কয়েকজন চালককে মারধরও করে ।ঘটনার পর বুধবার সকালে অসন্তুষ্ট ট্রাক চালকেরা একত্রিত হয়ে ৮ নম্বর আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের চুরাইবাড়ি থানাধীন খেরেংজুড়ি এলাকায় অবরোধে বসে ।ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাতীয় সড়কের দু’পাশে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে যানবাহন। স্বাভাবিক ভাবেই হয় যানজটের সৃষ্টি।
“ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে গোটা রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন চালকরা!”
খবর পেয়ে চুরাইবাড়ি থানার এসআই প্রিতিময় চাকমা দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় চালকেরা। প্রশাসন ও ক্লাব কর্তাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে চালকরা জনিয়েছেন, “ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে গোটা রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন তারা “।
শক্তি সংঘ ক্লাব, ইয়ং রাইজিং স্টার ক্লাব এবং রতিয়াবাড়ির যুব সংঘ ক্লাব, সিএসসি, বুলেট ক্লাব, শিবাজী ক্লাব, তরুণ সেবা দল সহ আরো ক্লাবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমারঘাট ফটিকরায়ের রাজনগর এলাকার শক্তি সংঘ ক্লাব, ৮২ মাইল এলাকার ইয়ং রাইজিং স্টার ক্লাব এবং রতিয়াবাড়ি এলাকার যুব সংঘ ক্লাব- সহ আরো একাধিক ক্লাবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যেক বছরই পূজার সময় সংশ্লিষ্ট ক্লাবের উশৃঙ্খল যুবকেরা ট্রাক চালকদের চাঁদার নামে হেনস্থা করে থাকে ।
ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল সেট, পকেটে থাকা মানি ব্যাগ।
ট্রাক চালকদের কথায়, রাজ্যের অভ্যন্তরে কুমারঘাট মহকুমার মতো আর কোথায় তাঁদেরকে এতো চাঁদার জুলুমবাজির মধ্যে পড়তে হয় না। ক্লাবের লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না দিলেই চালকদের উপর নেমে আসে হামলা।
ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল সেট, পকেটে থাকা মানি ব্যাগ। তাই লরি চালকরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ” একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পারেন প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।”