কৈলাসহর ডেস্ক,৪ সেপ্টেম্বর।।
দুই ঠিকাদার গোষ্ঠীর আস্ফালনে দিনভর কৈলাসহর শহর উত্তপ্ত ছিলো। গোটা শহর এলাকায় বিরাজ করে তীব্র আতঙ্ক । সম্প্রতি কৈলাসহর শহর এলাকার একটি কাজের দরপত্র আহবান করেছিলো স্থানীয় পূর্ত দপ্তর। কাজের মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা। । পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে দরপত্র আহবান করার পর শহর এলাকার এক যুবক এবং শহর উত্তরাঞ্চল এলাকার অপর এক যুবক সেই কাজটি করার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছিলো। পরবর্তী সময়ে পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে দুই যুবককে পাঁচ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার জন্য লিখিত ভাবে জানিয়ে দেয় দপ্তর। কিন্তু পাঁচ সেপ্টেম্বর ফতেয়া দোহাজ দাহমের জন্য অফিস বন্ধ থাকার কারনে চার সেপ্টেম্বর ছিলো ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ শহর উত্তরাঞ্চল এলাকা থেকে কিছু যুবক পূর্ত দপ্তরের অফিসে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে আসার পর শহর এলাকার যুবকরা ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে বাঁধা দেয়। দুই পক্ষ মুখোমুখি হতেই পরিবেশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এই খবর শোনে কৈলাসহর মহকুমার পুলিশ আধিকারীক জয়ন্ত কর্মকার, ওসি তাপস মালাকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ,টিএসআর এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে পূর্ত দপ্তরের অফিসের দুই দিকে পাঠিয়ে দেয়। ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো বিকাল সাড়ে পাঁচটা। শহর উত্তরাঞ্চল এলাকার যুবকরা ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে পূর্ত দপ্তরের অফিসের ভিতরে ঢুকতে কয়েকবার চেষ্টা করলেও বিকেল সাড়ে পাঁচটা অব্দি ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে পারেনি।

বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ পুলিশের সামনেই দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে। এবং শহর উত্তরাঞ্চল এলাকার যুবকরা পূর্ত দপ্তরের অফিসের সামনে রাস্তা অবরোধ করে । কিন্তু পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পূর্ত দপ্তরের অফিস বন্ধ হবার পর কৈলাসহর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দেন।