“চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালি মামলার তদন্ত করছে দেশের দুই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। দুই তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের কোনও ফরেন্সিক অডিট হচ্ছে না। তাই আদালত বাধ্য হয়ে সেবিকে দায়িত্ব নিয়ে ফরেনসিক অডিট করার নির্দেশ দিয়েছে।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ২১সেপ্টেম্বর।। রোজ়ভ্যালি মামলায় নয়া মোড়। রোজভ্যালিতে আমানতকারীদের টাকা ফেরাতের জন্যই গঠিত কমিটির বিরুদ্ধে উঠেছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ।অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ শেঠের নেতৃত্বাধীন অ্যাসেটস ডিজ়পোজ়াল কমিটি অর্থাৎ এডিসি গঠন করা হয়েছিল।এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সেবিকে ফরেন্সিক অডিট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ সেবিকে রোজভ্যালির মামলায় একাধিক নির্দেশ দিয়েছে। চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালি মামলার তদন্ত করছে দেশের দুই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি। দুই তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের কোনও ফরেন্সিক অডিট হচ্ছে না। তাই আদালত বাধ্য হয়ে সেবিকে দায়িত্ব নিয়ে ফরেনসিক অডিট করার নির্দেশ দিয়েছে।
কলকাতা উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, রোজভ্যালির ১০টি সম্পত্তি বিক্রি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে।যেখানে বাজার দরের তুলনায় কত বেশি বা কম দাম ধরা হয়েছে?কত দামে সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে? সেই সমস্ত তথ্যের উল্লেখ থাকবে। রোজভ্যালির যাবতীয় হিসাবের বৈধতা বিচার করে ফরেন্সিক অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।সেবিকে হাইকোর্টের নির্দেশ, চকোলেট গ্রুপ থেকে কী করে এডিসি টাকা নিল? সেই হিসাব ও বৈধতা সংক্রান্ত রিপোর্টও আদালতে জমা করতে হবে।
এডিসি অনৈতিক কিছু কাজ করলে তার দায় ভার বর্তাবে কলকাতা হাইকোর্টের উপরেই।
কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, অ্যাকাউন্টসের বিষয়ে সেবি-র স্পেশ্যাল উইং আছে। সিবিআই, ইডি তাদের তদন্ত করছে কিন্তু তার মধ্যে ফরেন্সিক অডিট নেই। এরপরেই সেবিকেই দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। কলকাতা উচ্চ আদালতের বক্তব্য, রোজ়ভ্যালির সব সম্পত্তি আদালতের হেফাজতেই রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশেই গঠন করা হয়েছে অ্যাসেটস ডিজ়পোজ়াল কমিটি। এই কমিটি কাজ করছে আদালতের অঙ্গ হিসেবে। এডিসি অনৈতিক কিছু কাজ করলে তার দায় ভার বর্তাবে আদালতের উপরেই।