তবে গত ৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে আইএএনএস-ম্যাট্রিজ় প্রকাশিত জনমত সমীক্ষায় জানিয়েছিল বিহারের ভোটদাতাদের ‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী’ হিসাবে পছন্দের দৌড়ে নীতীশ সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁর পক্ষে রয়েছেন ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোটদাতা! ২৩ শতাংশের সমর্থন পেয়ে ওই সমীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তেজস্বী। ৮ শতাংশের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন পিকে। তবে সর্বশেষ সি – ভোটার সমীক্ষায় উঠে এলো ঠিক উল্টো চিত্র। চিন্তার ভাঁজ এনডিএ শিবিরে।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১২ অক্টোবর।।
বিহারের ভাবাবেগ কি আর নীতীশ কুমারকে কেন্দ্র করে ঘুরছে না! বিধানসভা ভোটের আগে বিহারের ভোটদাতাদের ‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী’ হিসাবে পছন্দের দৌড়ে জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারের স্থান তিন নম্বরে। সম্প্রতি সি-ভোটার জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। আর তাতেই মাথা ব্যথা বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির।
সি – ভোটারের জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী,
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিহারবাসীর পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
* তাঁর প্রতি ৩৬.২ শতাংশ ভোটদাতার সমর্থন।
তেজস্বীর পেছনে অর্থাৎ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা সদ্যগঠিত ‘জন সুরাজ পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রশান্ত কিশোর। যিনি গোটা দেশীয় রাজনীতিতে পিকে নামে পরিচিত।
* প্রশান্ত কিশোরের প্রতি বিহারের
২৩.২ শতাংশ ভোটদাতার সমর্থন।

* আর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ ১৫.৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে আছেন তিন নম্বরে!
সি-ভোটার জনমত সমীক্ষায় ‘পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী’ হিসেবে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিজেপির আর এক সহযোগী দল লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান। প্রয়াত দলিত নেতা রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্রকে পটনার কুর্সিতে দেখতে চেয়েছেন মগধভূমের ৮.৮ শতাংশ ভোটদাতা।
সর্বশেষ সি – ভোটার সমীক্ষায় উঠে এলো ঠিক উল্টো চিত্র। তাতেই চিন্তার ভাঁজ এনডিএ শিবিরে।
তবে গত ৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে আইএএনএস-ম্যাট্রিজ় প্রকাশিত জনমত সমীক্ষায় জানিয়েছিল বিহারের ভোটদাতাদের ‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী’ হিসাবে পছন্দের দৌড়ে নীতীশ সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁর পক্ষে রয়েছেন ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোটদাতা! ২৩ শতাংশের সমর্থন পেয়ে ওই সমীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তেজস্বী। ৮ শতাংশের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন পিকে। তবে সর্বশেষ সি – ভোটার সমীক্ষায় উঠে এলো ঠিক উল্টো চিত্র।

প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ভোট হবে ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে।
প্রসঙ্গত, এবছর বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। প্রথম পর্বে ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। ১০-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার পর তা পরীক্ষা হবে ১৮ অক্টোবর। প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। দ্বিতীয় পর্বে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।