ডেস্ক রিপোর্টার, ১২ অক্টোবর।।
              নেতা মানেই শুধু ভোটে জেতা নয়, নেতা মানেই মিথ্যা মৌখিক প্রতিশ্রুতি নয়, নেতা মানেই, তিনি সঙ্গী হবেন মানুষের সুখ – দুঃখে। নিজের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দাঁড়াবেন অসহায় মানুষের পাশে।রাজনীতির বর্তমান লেখচিত্রে এমন নেতার অভাব খুব বেশি। অবশ্যই ব্যতিক্রমও আছে। তাই তো মানুষ আজকের দিনেও আস্থা রাখেন রাজনীতিকদের উপর।অর্থাৎ নেতা – মন্ত্রীর উপর। রাজ্য রাজনীতির শাসক – বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলের এমন বেশ কয়েকজন মানব দরদী নেতা রয়েছেন, যাদেরকে মানুষ তাদের সুখে দুঃখে পেয়ে থাকেন পাশে। তাদের মধ্যে একজন রাজ্যের পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক ভগবান দাস। একথা “জনতার মশাল”  বলছে না।বলছে খোদ পাবিয়াছড়া বিধানসভা এলাকার মানুষ। ভগবান দাস আবারো পরিচয় দিলেন নিজের মানবিক মুখের। তিনি দাঁড়ালেন একটি দুঃস্থ পরিবারের পাশে। বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত।
      কুমারঘাট বিদ্যাসাগর পঞ্চায়েতের সায়দাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকার। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত কিছুদিন আগে ভর্তি হন  আগরতলায় জিবি হাসপাতালে। বেশ কিছু দিন ছিলেন চিকিৎসাধীন। কিন্তু শনিবার  চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে যান।
  তাঁর মরদেহ কুমারঘাটে নিয়ে আসার মতো আর্থিক সামর্থ্য পরিবারটির ছিল না। সেই কঠিন মুহূর্তে বিশ্বজিৎ সরকারের ছেলে দেবার্গ সরকার বিধায়ক ভগবান দাসকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পুরো ঘটনাটি তাঁকে জানান।ঘটনা জানার পর বিধায়ক ভগবান দাস এক মুহূর্তও দেরি না করে মানবিক উদ্যোগ নেন। তিনি আগরতলা থেকে নিজ দায়িত্বে গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন মরদেহ কুমারঘাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
শুধু তাই নয়, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে করেছেন প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তাও।
    মানবিকতার এই অনন্য দৃষ্টান্ত আবারও প্রমাণ করে দিলেন যে, বিধায়ক ভগবান দাস শুধুমাত্র একজন জনপ্রতিনিধি নন, তিনি মানুষের প্রকৃত বন্ধু ও আশ্রয়স্থল।বলছেন পাবিয়াছড়া অঞ্চলের মানুষ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *