ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ অক্টোবর।। ছিঃ ছিঃ। লজ্জা। মঞ্চে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি তথা রাজ্য সভায় সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্যের কালো গেঞ্জি পরিধান করা যুবক সংবর্ধনা দিচ্ছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন বক্সনগর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন। শনিবার বক্সনগরে অনুষ্ঠিত এম এল এ কাপে একটি ক্লাবের ফাইনাল ম্যাচে এই ঘটনা।
কালো গেঞ্জি পরিধান করা এই যুবক কে? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসবে।
রাজ্যের মাদক কারবারী অপু রঞ্জন দাসকে দিয়েই এম এল এ কাপের ফাইনাল ম্যাচে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের নাক কাটলেন খোদ দলীয় বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন। রাজীব ভট্টাচার্য হয়তো বা জানেন না, ক্লাবের তরফ থেকে মঞ্চে তাকে সংবর্ধনা দিতে আসা কালো গেঞ্জি পরিহিত যুবক অপু রঞ্জন দাস যে একজন এলিট ক্লাসের মাদক কারবারী।
অপুকে মাদক সামগ্রী ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছিল বক্সনগর থানার পুলিশ।
কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন তো নিশ্চিত ভাবেই জানেন মঞ্চে আসা যুবক অপু রঞ্জন দাস একজন মাদক কারবারী। এটা তোফাজ্জলের না জানার কোনো কারণ নেই। কেন, না গত বছর খানেক আগে অপুকে মাদক সামগ্রী ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছিল বক্সনগর থানার পুলিশ। অপু রাজ্য পুলিশের একজন তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।
বক্সনগরের ১৫- ২০ জন গাঁজা চাষী থেকে নিয়মিত গাঁজা সংগ্রহ করে অপু।
অপু অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে চলে আসে বাড়িতে। এবং পুনরায় শুরু করে মাদক ব্যবসা। বক্সনগরের ১৫- ২০ জন গাঁজা চাষী থেকে নিয়মিত গাঁজা সংগ্রহ করে অপু। এরপর এই গাঁজা পুলিশ ও রাজনীতিকদের সংগে গোপন সমঝোতা করে পাচার করে বহিঃ রাজ্যে। অপুর এই ব্যবসা বক্সনগরে ওপেন সিক্রেট। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও জানেন।
অবশ্যই তারা কিছুই বলেন নি তাকে। কারণ অপুর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কাঞ্চন মূল্য পেয়ে থাকে পুলিশ ও রাজনীতিকরা। তাই বুকে সাহস নিয়ে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের মঞ্চে চলে যায়। কারণ মাদক ব্যবসায়ী অপু ভালো করেই জানে স্থানীয় বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন ও পুলিশ তার পকেটের লোক। তাই ভয় – ঢর হীন ভাবে অপু চলে গেছে রাজীবের মঞ্চে।