সোমবার দুপুর নাগাদ সমাজ মাধ্যমে কুশীলবদের সিন্ডিকেট থেকে কে বা কারা সমাজ মাধ্যমে রাস্তায় পড়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ব্যানারের ছবি তুলে ভাইরাল করে দেয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ সাংবাদিকদের হোযাটস অ্যাপস নম্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম ছবি গুলির সত্যতা যাচাই না করেই খবর সম্প্রচার করেছে। পরবর্তী সময়ে যখন, ছবি গুলির আসল সত্যতা বেরিয়ে আসে।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৭ অক্টোবর।।
                   সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতির ক্যানভাসে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে কালো ছায়া! শরিক দল তিপ্রামথা ঘুর পথে চাপে রাখার চেষ্টা করছে শাসক দল বিজেপিকে। আবার বিজেপির ঘরোয়া রাজনীতিও অশান্তির মৃদু তরঙ্গে নড়ে উঠেছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির এক শ্রেণীর কুশীলবরা মুখ্যমন্ত্রীকে বদনাম করতে মাঠে নামে। তাদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর স্ব-দলীয় বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনও সক্রিয়। বিরোধীরা তো আছেই। পরিষ্কার ভাবে বললে, গোটা রাজ্যে পরিকল্পিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী হাওয়া চাঙ্গা করতে চাইছে রাজনীতির ব্যাপারীরা। তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্তও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের মুখ ও মুখোশ খসে পড়েছে।

।।২০২২ -র ফ্লেক্স।।

গভীর ষড়যন্ত্র করে রাজনীতির কুশীলবরা এই ছবি গুলি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য।

সোমবার দুপুর নাগাদ সমাজ মাধ্যমে কুশীলবদের সিন্ডিকেট থেকে কে বা কারা সমাজ মাধ্যমে রাস্তায় পড়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ব্যানারের ছবি তুলে ভাইরাল করে দেয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ সাংবাদিকদের হোযাটস অ্যাপস নম্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম ছবি গুলির সত্যতা যাচাই না করেই খবর সম্প্রচার করেছে। পরবর্তী সময়ে যখন, ছবি গুলির আসল সত্যতা বেরিয়ে আসে। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে জানতে পারেন, ” বাস্তব অর্থে মুখ্যমন্ত্রীর এই ছবিগুলো ২২- র। গভীর ষড়যন্ত্র করে রাজনীতির কুশীলবরা এই ছবি গুলি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য।


রাজপথের থাকা ডাস্টবিনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো ফ্লেক্স, ফেস্টুন রেখে এক কুৎসিত খেলা শুরু করে কুশীলবরা।

।শারদ উৎসবেও বড়জলাতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স।

রাজপথের থাকা ডাস্টবিনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো ফ্লেক্স, ফেস্টুন রেখে এক কুৎসিত খেলা শুরু করে কুশীলবরা। তারা বুঝানোর চেষ্টা করছে, ” দলীয় অন্তর কোন্দলের কারণে স্ব – দলীয় লোকজন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সমেত ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ব্যানার ভাঙচুর করেছে।” তবে এই ঘটনার পেছনে বিরোধী সিপিআইএম ও কংগ্রেসের হাতও থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজেপির কর্মীরা। তবে ভাজপার কয়েকজন নেতা ও তাদের অনুগামীরাও মুখ্যমন্ত্রীর এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছে। যারা নিজেদের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী শিবিরের বলে প্রকাশ্যে পরিচয় দিয়ে থাকে।

মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স ভূ-পতিত করেই কি লাগানো হয়েছিল মণ্ডল সভাপতির ফ্লেক্স?

বিজেপির রাজনীতিতে বড়জলার মন্ডল সভাপতি রাজীব সাহা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অনুগামী হিসাবেই পরিচিত।

রাজীব সাহা ( সভাপতি, বড়জলা মণ্ডল)

প্রসঙ্গত, শারদ উৎসবের মুহূর্তে বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রেও মুখ্যমন্ত্রীর শারদ শুভেচ্ছার ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর অভিযোগের তির ছিলো বড়জলা মন্ডলের মন্ডল সভাপতি রাজীব সাহার দিকে। বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, মন্ডল সভাপতি রাজীব সাহা নিজের শারদ শুভেচ্ছার ফ্লেক্স বসানোর জন্য, মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স ফেলে দিয়েছিল। বিজেপির রাজনীতিতে বড়জলার মন্ডল সভাপতি রাজীব সাহা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অনুগামী হিসাবেই পরিচিত। এটা গোটা মণ্ডলে ওপেন সিক্রেট!


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *