স্পোর্টস ডেস্ক, আগরতলা।।
জাতীয় ক্রিকেটে লজ্জার পরাজয় ত্রিপুরার। চার দিনের ম্যাচ শেষ হয়ে গেল দের দিনেই। লাহেলি-র বানসি লাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২২ গজে লুটে পড়লেন ত্রিপুরার ব্যাটসম্যানরা। করলেন মরশুমের সর্ব নিম্নরান। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলীয় ক্রিকেটারদের যোগ্যতা নিয়ে। বর্তমান ক্রিকেটে ‘ বুড়ো ‘ দের দলে দেওয়া নিয়ে ও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রথম ম্যাচে সার্ভিসের বিরুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে ত্রিপুরা এমনই আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্যের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু ত্রিপুরার কাগজে কলমে ‘ বাঘ ‘ ক্রিকেটাররা কার্যত শেয়াল বনে গেলেন। ম্যাচে হরিয়ানা জয় লাভ করে নয় উইকেটে। ত্রিপুরার প্রথম ইনিংসে গড়া ১২৬ রানের জবাবে স্বাগতিক দল হরিয়ানা ১৫৮ রান করেছিলো। ৩২ রানে পিছিয়ে থেকে ত্রিপুরার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় সর্বসাকুল্যে মাত্র ৪৭ রানে। জবাবে খেলতে নেমে হরিয়ানা এক উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ঘূর্ণি উইকেটে খেলতে না পারার খেসারত দিতে হলো রাজ্য দলকে। ত্রিপুরার ১২৬ রানের জবাবে প্রথম দিনের শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করেছিলো স্বাগতিক দল। রবিবার আরও দুই রান যোগ করার ফাঁকে শেষ দুটি উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। ত্রিপুরার পক্ষে স্বপ্নীল সিং ৬৬ রানে ৭ টি উইকেট দখল করেন। ৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে হরিয়ানার স্পিনার নিখিল কাশ্যপ এবং পার্থ ভাটস এর দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যায় ত্রিপুরা ইনিংস। রাজ্য দলের পক্ষে শ্রীদাম পাল ১৮ বল খেলে একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ এবং দলনায়ক মনি শংকর মুড়া সিং ১৭ বল খেলে একটি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ রান করেন। দলের আর কোনও ব্যাটসম্যান ২২ গজের মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। হরিয়ানার পক্ষে পার্থ ১৪ রানে পাঁচটি, নিখিল কাশ্যপ উনত্রিশ রানে তিনটি উইকেট দখল করেন। জয়ের জন্য মাত্র ১৬ রানের লক্ষ মাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে হরিয়ানা এক উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। দলের পক্ষে নিশান সিন্ধু ১১ বল খেলে পাঁচ রানে এবং ময়ান সান্দ্রিলিয়া ৬ বল খেলে একটি বাউন্ডারির সাহায্যে সাত রানে অপরাজিত থেকে যান। বুড়ার পক্ষে একমাত্র উইকেটটি দখল করেন স্বপ্নীল সিং। ১-৪ নভেম্বর ত্রিপুরা মরশুমে তৃতীয় ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী বাংলার বিরুদ্ধে। এমবিবি স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।

