রাজনীতির পা চাটা তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা চাপা দিয়ে রাখতে চাইলেও তারা ব্যর্থ।কারণ জিরানিয়া কাণ্ডে জড়িত লোকজনের গন্ধে ম-ম করছে সর্বত্র। জিরানিয়া রেলের ওয়াগনারে করে মাদক সামগ্রী পাচারের ঘটনার বড় সিন্ডিকেট জড়িয়ে রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের এক জনের মাদক বাণিজ্যের পাণ্ডুলিপি উন্মোচন করবে ” জনতার মাশাল” । বাদবাকিদের পালা আসবে ধীরে ধীরে।

ডেস্ক রিপোর্টার,৩০ অক্টোবর।।
               জিরানিয়া রেল স্টেশনে মাদক বোঝাই ওয়াগনার আটক করার পর পক্ষ কাল অতিক্রান্ত। তারপরও পুলিশ গোটা মাদক সিন্ডিকেটের কুশীলবদের জালে তুলতে ব্যর্থ।  পুলিশের নারকোটিক্স বিভাগ হাতড়াছে অন্ধকারে। আগরতলা শহরের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীর ঘোষ লজিস্টিকের মালিক অরুন ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছিল তদন্তকারী পুলিশ। তার বাড়ী থেকে উদ্ধার করেছে কিচ্ছু নথি পত্র।এছাড়াও মহারাজগঞ্জ বাজারের কয়েকটি ট্রান্সপোর্টে লোক দেখানো অভিযান করেছিল পুলিশ। এখন সবই অশ্ব ডিম্ব। পরিষ্কার ভাবে বললে, তদন্তে চূড়ান্ত ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। কে বা কারা রেল পথে মাদকের সর্ব বৃহৎ চালান রাজ্যে এনেছে। কারা গোটা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত? পুলিশের কাছে সব তথ্য রয়েছে। শুধু মাত্র তাদের সদিচ্ছার অভাব। বা হাতে আছে রাজনীতির শক্তপোক্ত বেরি।


রাজনীতির পা চাটা তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা চাপা দিয়ে রাখতে চাইলেও তারা ব্যর্থ।কারণ জিরানিয়া কাণ্ডে জড়িত লোকজনের গন্ধে ম-ম করছে সর্বত্র। জিরানিয়া রেলের ওয়াগনারে করে মাদক সামগ্রী পাচারের ঘটনার বড় সিন্ডিকেট জড়িয়ে রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের এক জনের মাদক বাণিজ্যের পাণ্ডুলিপি উন্মোচন করবে ” জনতার মাশাল” । বাদবাকিদের পালা আসবে ধীরে ধীরে।

নাম: স্বপন 
বাড়ি: মজলিশপুর


স্বপন দীর্ঘ দিন ধরেই মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আবার মজলিশপুর কেন্দ্রের শাসক দলের একজন সিকি নেতা। অবশ্যই এখন দলের মধ্যে তার কোনো পদ নেই। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, স্বপন জিরানিয়া অপরাধ সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য। আগরতলার ঘোষ লজিস্টিক’ র মালিক অরুন ঘোষের সঙ্গে তার হরিহর আত্মার মতো সম্পর্ক। রেলের ওয়াগনার দিয়ে মাদক সামগ্রী রাজ্যে আসার পর, সেখান থেকে মাদক পণ্য বণ্টনের মূল দায়িত্বে থাকেন শাসক দলের স্ব-ঘোষিত টেনু নেতা স্বপন। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মজলিশপুর বিধানসভার মাদক সিন্ডিকেটের রাঘব বোয়ালদের নাম প্রকাশ্যে চলে আসবে। কিন্তু তদন্তকারী পুলিশের কি এতটা দুঃসাহস আছে?


তার প্রধান দুই খদ্দের হলো সিধাই মোহনপুরের এলিট ক্লাসের মাদক ব্যবসায়ী চন্দন সরকার।

মাদক সিন্ডিকেটের তথ্য বলছে, এক সময়ে নুন আনতে পান্তা ফুরানো স্বপনের ২৫ টি বাণিজ্যিক গাড়ি রয়েছে। এই গাড়ি দিয়েই জিরানিয়া থেকে মাদক পণ্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দেয়। তার প্রধান দুই খদ্দের হলো সিধাই মোহনপুরের এলিট ক্লাসের মাদক ব্যবসায়ী চন্দন সরকার। এবং বক্সনগরের মাদক মাফিয়া অপু রঞ্জন দাস।চন্দনের মাদক পণ্য সরাসরি পাঠানো হয় মোহনপুরে। অপু রঞ্জন দাসের পণ্য পাঠানো হয় আমতলী – খয়েরপুর বাইপাস সড়কের মালয়নগরস্থিত কাঠিয়া বাবা আশ্রম সংলগ্ন রাবাব বাগানে। তাও আবার রাতের অন্ধকারে।সেখান থেকে অপু তার নিজস্ব নেট ওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে মাদক সামগ্রী নিয়ে যায় বক্সনগরে। মজলিশপুরের মাদক কারবারী স্বপনের সম্পত্তির মোট বহর দেখলে ভ্রু কুঁচকে যাবে তদন্তকারী পুলিশের।


সম্প্রতি স্বপন আগরতলার মরা চৌমুহনীতে এক কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি নতুন বাড়ি ক্রয় করেছে। এবার তার নতুন সংযোজন পেট্রোল পাম্প।

সম্প্রতি স্বপন আগরতলার মরা চৌমুহনীতে এক কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি নতুন বাড়ি ক্রয় করেছে। এবার তার নতুন সংযোজন পেট্রোল পাম্প।আমতলী – খয়েরপুর বাই – পাস সড়ক লাগোয়া এলাকায়  মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে স্বপনের এই পেট্রোল পাম্প। স্বপনের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক পল্টু। এক সময় সে ছিল অটো চালক।


মূলত স্বপনের মাদক সিন্ডিকেটের ক্যাশিয়ার পল্টু।

বর্তমানে পল্টু নিজেও পাঁচটি গাড়ির মালিক। মূলত স্বপনের মাদক সিন্ডিকেটের ক্যাশিয়ার পল্টু। জিরানিয়া মাদক কাণ্ডের আরো রোম হর্ষকর তথ্য তুলে ধরবে “জনতার মশাল”। তারপরও রাজ্যের তদন্তকারী পুলিশ মাদক কারবারীদের সঙ্গে খেলবে ” চোর – পুলিশের” খেলা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *