ডেস্ক রিপোর্টার,২১ নভেম্বর।।
                রাজ্যের শাসক গোষ্ঠীর দুই শরিকের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র এডিসির সদর দপ্তর খুমলুঙ। হামলা পাল্টা,  হামলায় বিষিয়ে উঠেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিবেশ।  দুই শরিক বিজেপি – তিপ্রামথার কর্মীদের দফায় দফায় আক্রমণ,পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা খোদ পুলিশ প্রশাসন। বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, তিপ্রামথার উগ্র সমর্থকরা তাদের নেতা – কর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা করছে ধারাবাহিক ভাবে। করছে অগ্নিসংযোগ ও মারধর। বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তিপ্রামথার কর্মীদের।
           বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে খুমুলুঙের জয় কৃষ্ণ কোবরা পাড়ায় বাসিন্দা
শহীদ দেববর্মার বাড়িতে মথার কর্মী – সমর্থকরা নির্বিচারে হামলা করে। ভেঙে দেয় তার বাড়ি ঘর। ঘরে থাকা সমস্ত আসবাব পত্র ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজ ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেয়। ছিনিয়ে নিয়ে যায় সোনার গয়না ও টাকা। এবং দেয় হত্যার হুমকি। এই সমস্ত ঘটনা অকপটে স্বীকার করেছেন শহীদ দেববর্মার স্ত্রী।


বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনা কেন্দ্র করে শুক্রবার দিনভর তপ্ত ছিলো এডিসির সদর দপ্তর। আগরতলা থেকে খুমুলুঙের ছুটে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ বিজেপি কর্মী শহীদ দেববর্মার বাড়িতে যান। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। খোঁজ নেন গোটা ঘটনার।  শহীদ দেববর্মার বাড়িতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” আইন অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তবে এদিন শরিক দল তিপ্রামথার নাম উল্লেখ না করে বলেন, “ওরা বামদের থেকে সন্ত্রাসের সংস্কৃতি রপ্ত করেছে। এই সংস্কৃতি থেকে তারা এখনো বেরিয়ে আসতে পারে নি। মানুষের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, মারধর, খুন ছিলো বামেদের সংস্কৃতি। এটাকেই এখন লুফে নিয়েছে কেউ কেউ।”
       অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, মুখে শরিক দলের নাম, না নিলেও প্রদেশ বিজেপির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শহীদ দেববর্মার বাড়িতে হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে তিপ্রা মথাকেই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *