“ছবিতে স্পস্ট দেখা যাচ্ছে খোদ মাদক মাফিয়া মান্তুনু সাহার সঙ্গে রয়েছে দিল্লির বাসিন্দা “স্ব-ঘোষিত” রাবার ব্যসায়ী বিকাশ খান্না। যিনি নিজেকে আরএসএসের লোক বলে জাহির করেন। শুধু তাই নয়, আভিযোগ, আর এস এসের নাম ভাঙিয়ে বিকাশ খান্না পৌঁছে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেও।আমলাদের সঙ্গেও তার বেশ সখ্যতা।অভিযোগ,আদতে বিকাশ দিল্লি থেকে ত্রিপুরা এই রুটে মাদক সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।”

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৪ নভেম্বর।
    থমকে গেল জিরানিয়া রেলে ওয়াগনে উদ্ধারকৃত মাদক মামলার তদন্ত! তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে অত্যন্ত মন্থর গতিতে।রহস্য জনক ভাবে আড়মোড়া মনোভাব
তদন্তকারী সংস্থা ক্রাইম ব্রাঞ্চের।স্বাভাবিক ভাবেই
এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে এই মামলার অন্যতম
অভিযুক্ত কলম চৌড়ার অপু রঞ্জন দাস।ক্রাইম ব্রাঞ্চের তথাকথিত নেটওয়ার্কের জাল ভেদ করে অপু বর্তমানে অবস্থান করছে বাংলদেশে।

Table of Contents

।মাদক মাফিয়া অপু রঞ্জন দাস।

তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চ তেল খাওয়া মেশিনের মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিলো।

সম্প্রতি জিরানিয়া রেল স্টেশনে রেলের ওয়াগন থেকে এসকফের চালান উদ্ধারের পরও রাজ্য পুলিশের এসটিএফ ও ক্রাইমব্রাঞ্চ ছিলো নীরব।পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে পুলিশ নিজেদের খাকি উর্দির ইজ্জত বাঁচাতে মাঠে নামে। আনুষ্ঠানিক ভাবেই এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্রাইম ব্রাঞ্চের উপর। দায়িত্ব পেয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চ তেল খাওয়া মেশিনের মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। একে একে এই মামলায় ঘোষ লজিস্টিকের মালিক অরুণ ঘোষ, রাজীব দাশগুপ্ত, মান্তুনু সাহা ও
দিল্লির বাসিন্দা অংশুমান ঝাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

।প্রতীকী ছবি।

এই ঘটনার কিছু দিন আগে অপু রঞ্জন বক্সনগরে একটি খেলার মাঠের মঞ্চে উঠে সংবর্ধনা দিয়েছিলো প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে।

এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিলো
কলম চৌড়ার মাদক মফিয়া অপু রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার কিছু দিন আগে অপু রঞ্জন একটি খেলার মাঠে মঞ্চে উঠে সংবর্ধনা দিয়েছিলো প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে( বর্তমানে তিনি অসুস্থ)।পাশেই ছিলেন বক্সনগর কেন্দ্রের বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন। জিরানিয়ার ঘটনার পর পুলিশ বক্সনগরে অপু রঞ্জন দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছিলো। কিন্তু তার আগেই অপু চলে যায় সীমান্তের ওপারে। ক্রাইম ব্রাঞ্চকে বিষন্ন বদনে ফিরতে হয় অপুর বাড়ি থেকে। অর্থাৎ অপুকে গ্রেফতার করতে পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশের স্বপ্নের ক্রাইম ব্রাঞ্চ!

বিকাশ খান্না, মান্তুনুরা রাবার ব্যবসার অন্তরালে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে থাকে!

” জনতার মশাল”-  র এই প্রতিবেদনের সঙ্গে সেটে দেওয়া হয়েছে মাদক মাফিয়া মান্তুনু সাহা ওরফে মান্তুর গোটা মাদক সিন্ডিকেট। তারা রাবার ব্যবসার অন্তরালে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ মান্তুনু সাহার বাইপাসস্থিত রাবার গোডাউনে হানা দিয়ে বেশ কিছু আপত্তি কর জিনিস উদ্ধার করেছিলো। মান্তুনু’র অন্যান্য রাবার গুদামেও হানা দিয়েছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি এর আগেই সমস্ত রাবারের সিটের বস্তার থাকা কফ সিরাপ সহ অন্যান্য মাদক সামগ্রী সরিয়ে নেওয়া হয়। আসলে সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে যা হওয়ায়, তাই হয়েছে।

।মান্তুনুর মাদক সিন্ডিকেটের কুশীলবরা।

ছবিতে স্পস্ট দেখা যাচ্ছে খোদ মাদক মাফিয়া মান্তুনু সাহার সঙ্গে রয়েছে দিল্লির বাসিন্দা “স্ব-ঘোষিত” রাবার ব্যসায়ী বিকাশ খান্না। যিনি নিজেকে আরএসএসের লোক বলে জাহির করেন। শুধু তাই নয়, আভিযোগ, আর এস এসের নাম ভাঙিয়ে বিকাশ খান্না পৌঁছে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেও।আমলাদের সঙ্গেও তার বেশ সখ্যতা।অভিযোগ,আদতে বিকাশ দিল্লি থেকে ত্রিপুরা এই রুটে মাদক সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।

।দিল্লির বাসিন্দা বিকাশ খান্না।

মান্তুনুর মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আগরতলার মোটর বাইক ব্যবসায়ী সায়ন্তন দাস ও চুড়াই বাড়ির সৌমেন গোস্বামী ওরফে কালা দাদা।

মান্তুর সঙ্গে ছবিতে রয়েছে তেলিয়ামুড়ার মাদক কারবারী কৃপাসিন্ধু, রানা, সৈকত।মোহনপুরের চন্দন সহ আরো কয়েকজন। তবে মান্তুনুর মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আগরতলার মোটর বাইক ব্যবসায়ী সায়ন্তন দাস ও চুড়াই বাড়ির সৌমেন গোস্বামী ওরফে কালা দাদা। অভিযোগ, এরা সবাই খয়েরপুর বাইপাসে মাদক বোঝাই গাড়ি ছিনতাই কাণ্ডে জড়িত।

।সৌমেন গোস্বামী ওরফে কালা দাদা।

পেট্রোল পাম্পটি নাকি মান্তুনু’র শ্যালক সায়ন্তন – সৈকতদের।

এই ঘটনায় নাম উঠেছিল বিজেপির খয়েরপুর মন্ডলের যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি মান্নার। মাদক সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ধৃত মান্তুনু সাহা তেলিয়ামুড়া তুসিন্দ্রাইস্থিত একটি পেট্রোল পাম্পে মজুত করতো মাদক সামগ্রী। রাতের আধারে তেলের ট্যাংকারে করে পেট্রোল পাম্পে আসতো সমস্ত ধরনের মাদক দ্রব্য। একই ভাবে এই পেট্রোল পাম্প থেকে তেলের ট্যাংকারে করে গাঁজার প্যাকেট পাচার করা হতো বহিঃ রাজ্যে।

।ইনসেটে সায়ন্তন দাস।

এক রহস্য কারণে তেলিয়ামুড়ার তুসিন্দ্রাইয়ের এই পেট্রোল পাম্পে হানা দেয় নি ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

এক রহস্য কারণে তেলিয়ামুড়ার তুসিন্দ্রাইয়ের এই পেট্রোল পাম্পে হানা দেয় নি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সূত্রের দাবী, এই পেট্রোল পাম্পটি নাকি মান্তুনুর শ্যালক সায়ন্তন – সৈকতদের। তাহলে স্পস্ট মান্তুনু – বিকাশ খান্না – রানা – সায়ন্তনরা পরিকল্পিত ভাবে নির্ভয়ে পরিচালনা করছে মাদক সিন্ডিকেট। সঙ্গে বক্সনগরের অপু, মোহনপুরের চন্দনরা তো আছেই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *