“জনতার মশাল” ও “JM 24News” – র প্রকাশিত খবরের সত্যতা প্রকাশ্যে এলো ২৪ নভেম্বর । এদিন রাতে আমতলী বাইপাসের বঙ্গেশ্বর ব্রিজ লাগোয়া এলাকা থেকে বিহারের তৈরী দুইটি স্টার মার্কা পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন সহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা। বাকি দুইজন ত্রিপুরার। জনিয়েছেন পশ্চিম জেলার এসপি নমিত পাঠক।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৫ নভেম্বর।।

    রাজ্যের অপরাধ জগতে বিহারের পাগলা ঘোড়ার দাপট।   বিহারের পাগলা ঘোড়া মানে মুঙ্গেরের তৈরি “স্টার মার্কা” পিস্তল। রাজ্যের অপরাধীদের কাছে  বাড়ছে বিহারের “স্টার মার্কা” পিস্তলের ব্র্যান্ড ভ্যালু। গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই খবর প্রকাশিত হয়েছিলো জনতার মশাল ও JM24News – এ।

Table of Contents

।।গত ১৮ সেপ্টেম্বর “জনতার মশাল”- র 
প্রকাশিত খবরের অংশ।।

“জনতার মশাল” ও “JM 24News” – র প্রকাশিত খবরের সত্যতা প্রকাশ্যে এলো ২৪ নভেম্বর । এদিন রাতে আমতলী বাইপাসের বঙ্গেশ্বর ব্রিজ লাগোয়া এলাকা থেকে বিহারের তৈরী দুইটি স্টার মার্কা পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন সহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা। বাকি দুইজন ত্রিপুরার। জনিয়েছেন পশ্চিম জেলার এসপি নমিত পাঠক।

।আমতলী থানায় উদ্ধারকৃত স্টার মার্কা পিস্তল।

অস্ত্র কেনার ব্যাপারেও অস্ত্রটির ব্র্যান্ড ভ্যালু , রঙ ও অস্ত্র কতটা টেকসই ইত্যাদি সবকিছু দেখে, তবেই অপরাধীরা কেনে আগ্নেয়াস্ত্র।

বাজারে গিয়ে কোনও জিনিস ক্রয় করলে তার  গুণগতমানও বিচার করা হয়। জিনিসটির রং, আকৃতি সবটা পরখ করে তবেই বাড়ির জন্য নিয়ে আসার কথা ভাবেন মানুষ।  আবার জামা-কাপড় কেনার ক্ষেত্রে অনেকের কাছেই ‘ব্র্যান্ড’ বিষয়টি ভীষণ ‘ম্যাটার’ করে থাকে। ঠিক, একই রেওয়াজ চালু রয়েছে  অপরাধ জগতেও।  অস্ত্র কেনার ব্যাপারেও অস্ত্রটির ব্র্যান্ড ভ্যালু , রঙ ও অস্ত্র কতটা টেকসই ইত্যাদি সবকিছু দেখে, তবেই অপরাধীরা কেনে আগ্নেয়াস্ত্র।


রাজ্যের ক্রাইম  সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ২৬- র ভোটের বছর ত্রিপুরার অপরাধের হাট – বাজার কাঁপাতে অপরাধীদের ভরসা বিহারের মুঙ্গেরের তৈরী “স্টার মার্কা” পিস্তল।

প্রতিটি নির্বাচন এলেই কদর বাড়ে অপরাধীদের। তারা কাজ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে। রাজ্যে আগামী বছর এডিসি নির্বাচন, তারপরেই আসছে পুর নির্বাচন। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের বছর যে অস্ত্রের বাজার চর চড়িয়ে বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্যের ক্রাইম  সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ২৬- র ভোটের বছর ত্রিপুরার অপরাধের হাট – বাজার কাঁপাতে অপরাধীদের ভরসা বিহারের মুঙ্গেরের তৈরী “স্টার মার্কা” পিস্তল। রাজ্যের অপরাধীদের কাছে যার পোশাকি নাম “পাগলা ঘোড়া “। বর্তমানে রাজ্যের অস্ত্রের বাজারে দেদার বিকোচ্ছে স্টার মার্কা পিস্তল।

।আমতলী থানায় ধৃত তিন অস্ত্র কারবারী।

অপরাধ বাজারের দখল নিতে  মুড়ি মুড়কির মতো অপরাধীরা পকেটে ঢুকাচ্ছে মুঙ্গেরে তৈরী স্টার মার্কা আগ্নেয়াস্ত।

আন্ত: রাজ্য অস্ত্র কারবারীরা রাজ্যের বাজার ধরতে বিহারের স্টার মার্কা পিস্তলের ছোট ছোট চালান করে পাঠিয়ে দিচ্ছে রাজ্যে। এরা নিয়মিত  ব্যবহার করছে রেল পথ ও সড়ক পথকে। তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলে রাজনৈতিক অপরাধীরা মজুত করছে স্টার মার্কা পিস্তল। কারণ, আসন্ন এডিসি নির্বাচনে নানান রাজনৈতিক দলের হয়ে অপরাধীরা বাজার গরম করতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে। এবং অপরাধ বাজারের দখল নিতে তারা মুড়ি মুড়কির মতো পকেটে ঢুকাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত। হাতে নাতে তার প্রমাণ পেয়েছে শহরের আমতলী থানার পুলিশ। ২৪ নভেম্বর রাতে আমতলী থানায় গ্রেফতার হওয়া অস্ত্র কারবারীদের মধ্যে দুই জন রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের। তারা এডিসি অঞ্চলের বাসিন্দা। অপর জন বিহারের। তবে পাহাড়ের মতো শহর – সমতলেও মুঙ্গেরের স্টার মার্কা পিস্তলের চাহিদা গগনচুম্বী। 


গোয়েন্দার তথ্য বলছে, রাজধানীর এনসিসি থানার গোয়ালা বস্তি হয়ে উঠেছে বিহারের মুঙ্গেরের তৈরী স্টার মার্কা পিস্তলের “আড়ত ঘর “।

গোয়েন্দার তথ্য বলছে, রাজধানীর এনসিসি থানার গোয়ালা বস্তি হয়ে উঠেছে বিহারের মুঙ্গেরের তৈরী স্টার মার্কা পিস্তলের “আড়ত ঘর “। এখানে রয়েছে বেশ কয়েকজন অস্ত্রের আড়তদার। অভিযোগ ,এনসিসি থানার দুর্নীতিবাজ ওসি প্রাজিৎ মালাকার অস্ত্রের আড়তদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, তাদের কাছ থেকে নিয়মিত আদায় করে থাকেন কাঞ্চনমূল্য। এই তথ্য খোদ এনসিসি থানার অন্দর মহলের।

প্রাজিৎ মালাকার, (ওসি এনসিসি থানা)

তারপরও কি ওসি প্রাজিৎ মালাকারের “অপরাধের ডায়েরির” খবর পৌঁছচ্ছে না রাজ্য পুলিশের ইন্টেলিজেন্সের আইজি কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীর কর্ণ কুহরে?

এই তথ্য খোদ এনসিসি থানার অন্দর মহলের। তারপরও কি ওসি প্রাজিৎ মালাকারের “অপরাধের ডায়েরির” খবর পৌঁছচ্ছে না রাজ্য পুলিশের ইন্টেলিজেন্সের আই জি কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীর কর্ণ কুহরে? অর্থাৎ পরিষ্কার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বা সহযোগীতা উভয় কারণেই রাজ্যের অপরাধের হাট – বাজারে এখন অপরাধীদের কাছে ভরসার নাম একটাই — “পাগলা ঘোড়া।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *