স্পোর্টস ডেস্ক,৮ ডিসেম্বর।।
জয় দিয়ে আসর শেষ করলো ত্রিপুরা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ত্রিপুরা সুপার ওভারে পরাজিত করে কর্ণাটক কে। সৈয়দ মুস্তাক আলী টি -২০ ক্রিকেটে। আসরে ৭ ম্যাচ খেলে দুটি ম্যাচে জয় পেয়ে রাজ্যে ফিরছে ত্রিপুরা। রাজ্য দলের অধিনায়ক মনি শংকর মুড়া সিং এর ঝড়ো ব্যাটিং ত্রিপুরাকে দ্বিতীয় জয় এনে দিতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কর্ণাটকের ১৯৭ রানের জবাবে ত্রিপুরা নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করেছিলো। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। তাতে ত্রিপুরার গড়া ২২ রানের জবাবে কর্ণাটক ১ উইকেট হারিয়ে ১৮ রান করে। ত্রিপুরার মনি শংকর ঝড়ো অর্ধ শতরান করেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন মনি শংকর। এদিন সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে।দলের পক্ষে বি আর শরৎ ২০ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪, ম্যাকনেইল ২১ বল খেলে একটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪, দেবদূত পাদিকাল ২৩ বল খেলে একটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩২, ময়াংক আগরওয়াল ২৬ বল খেলে একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৯ এবং স্মরণ আর ১১ বল খেলে একটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে মনি শংকর মুড়া সিং ৩০ রানে এবং সারুক হোসেন ৩৫ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও একসময় চাপে ছিল ত্রিপুরা। এই অবস্থায় দলকে টেনে তোলার যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মনি শংকর। এবং ঝড়ো গতিতে ব্যাট করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ত্রিপুরা ১৯৭ রান করে। রাজ্য দলের পক্ষে মনি শংকর ৩৫ বল খেলে দুটি বাউন্ডারি ও ছয়টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৯, হনুমা বিহারী ১৯ বল খেলে ছয়টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৬, শ্রীদাম পাল ১৫ বল খেলে চারটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ এবং সৌরভ দাস ৬ বল খেলে একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ রান করেন। কর্ণাটকের পক্ষে প্রবীণ দুবে ৬ রানে এবং শুভাঙ্গ হেগডে ৩১ রানে ২ টি করে উইকেট দখল করেন। ম্যাচ টাই হওয়ায় শুরু হয় সুপার ওভারের খেলা।তাতে ত্রিপুরা প্রথমে ব্যাট করে এক ওভারে ২২ রান করে। রাজ্য দলের পক্ষে শ্রীদাম পাল ৪ বল খেলে দুটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ রানে এবং মনি শংকর ২ বল খেলে একটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। জয়ের জন্য ২৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে কর্ণাটক ১৮ রান করতে সক্ষম হয় ১ উইকেট হারিয়ে। দলের পক্ষে অভিনব মনোহর ৩ বল খেলে একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ রান করেন।

