সম্প্রতি আগরতলায় বিজেপির জনজাতি মোর্চার সভায় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেছিলেন, তিপ্রামথা সহ সমস্ত বিরোধীদের ব্রয়লারের মুরগির মতো ছিঁড়ে ফেলবেন। মন্ত্রীর এই কথার প্রেক্ষিতেই বিজেপি কর্মীরা মথার কর্মীদের উপর আক্রমণ শুরু করেছে বলেছেন আর.এইচ মলসুম।
 

তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৫ ডিসেম্বর।।
          এডিসি নির্বাচনের ঢাকে এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে কাঠি পড়ে নি। তার আগেই  রাজ্যের শাসক গোষ্ঠীর দুই শরিক বিজেপি ও তিপ্রামথার মধ্যে ধারাবাহিক সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছে। উভয় দলের শীর্ষ  নেতারা লিপ্ত হচ্ছেন বাকযুদ্ধে। আর মাঝারি ও নিচুস্তরের নেতারা সরাসরি মত্ত হয়ে উঠেছে ফ্রী স্টাইলে। রবিবার রাতে বিজেপি ও মথার নেতা – কর্মী- সমর্থকদের  হামলা, পাল্টা হামলায় তপ্ত হয়ে উঠছে তেলিয়ামুড়ার কৃষ্ণপুর বিধানসভা।
       তিপ্রামথার স্থানীয় জোনাল চেয়ারম্যান আর.এইচ মলসুমের বক্তব্য, বিজেপির খোয়াই জেলার মাইনরিটি সেলের সভাপতি রশিদ মিয়ার নেতৃত্বে তাদের সমর্থক শঙ্কর দেববর্মাকে প্রচণ্ড ভাবে মারধর করা হয়েছে।

।আহত তিপ্রামথার কর্মীকে দেখতে গেলেন নেতারা।

সভায় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেছিলেন, তিপ্রামথা সহ সমস্ত বিরোধীদের ব্রয়লারের মুরগির মতো ছিঁড়ে ফেলবেন।

সম্প্রতি আগরতলায় বিজেপির জনজাতি মোর্চার সভায় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেছিলেন, তিপ্রামথা সহ সমস্ত বিরোধীদের ব্রয়লারের মুরগির মতো ছিঁড়ে ফেলবেন। মন্ত্রীর এই কথার প্রেক্ষিতেই বিজেপি কর্মীরা মথার কর্মীদের উপর আক্রমণ শুরু করেছে বলেছেন আর.এইচ মলসুম।

মথার উগ্র সমর্থকরা তার স্ত্রী, সন্তানের উপর হামলা করে।তাদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র।

বিজেপির খোয়াই জেলার মাইনরিটি সেলের সভাপতি রশিদ মিয়ার বক্তব্য, তুইমধু স্কুল মাঠে একটি বিল্ডিং নির্মাণ শুরু হয়েছে। বিল্ডিংটি করা হচ্ছে ঠিক মাঝ মাঠে।এরফলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে প্রার্থনা ও খেলাধুলা করার জায়গা নেই। তিনি এর প্রতিবাদ করে, বিল্ডিংটি আরেকটু পেছনে করার দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর থেকেই মথার নেতা – কর্মীরা ক্ষেপে যান। এবং রবিবার রাতে তার বাড়িতে আক্রমণ করে।ঘটনার সময় রশিদ বাড়িতে ছিলেন না। মথার উগ্র সমর্থকরা তার স্ত্রী, সন্তানের উপর হামলা করে।তাদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। তাতে গুরুতর জখম হয়েছে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে।

রশিদ মিয়া, বিজেপি নেতা।

স্থানীয় মথার নেতা নান্টু দেববর্মা, পাইলট দেববর্মা ও কর্ণ দেববর্মার নেতৃত্বের তার বাড়িতে হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

রশিদ মিয়ার বক্তব্য, স্থানীয় মথার নেতা নান্টু দেববর্মা, পাইলট দেববর্মা ও কর্ণ দেববর্মার নেতৃত্বের তার বাড়িতে হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
     সরজমিনে ঘটনা তদন্ত করে জানা যায়, শাসক গোষ্ঠীর দুই শরিকের সংঘর্ষের নেপথ্যে রয়েছে ঠিকাদারি কাজের কমিশন বাণিজ্য। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ তেলিয়ামুড়া পুলিশ।
তেলিয়ামুড়ার পুলিশ ঘটনার রাতেই বিজেপি নেতা রশিদ মিয়াকে থানায় নিয়ে এসেছে। মথার নেতাদের বক্তব্য, তাদের অভিযোগ মূলে পুলিশ রাসিদকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, পুলিশ রশিদকে রেখেছে সেভ কাস্টডিতে। কারণ তিপ্রামথার লোকজন যেকোনো সময় হামলা করতে পারে তার উপর।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *