“ভারত – বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে ত্রিপুরা হবে ভারতীয় সেনার মূল ঘাঁটি। ১৯৭১- র ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধের সময়েও ত্রিপুরার মাটিকেই সবচেয়ে ব্যবহার করেছিলো ভারতীয় সেনা। এবারও যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ভারতের দিকে ঢিল আসে, তাহলে ত্রিপুরার পবিত্র ভূমিকে ব্যবহার করেই বীর সেনারা এক লহমায় ইউনূসের বাংলাদেশকে গ্রাস করে নেবে। এটা নিশ্চিত। বলছেন প্রাক্তন সেনা কর্তারা।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ২০ ডিসেম্বর।।
বাংলাদেশের চলমান অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের। যে কোনো সময় বিগড়ে যেতে পারে পরিস্থিতি। তার জন্য ত্রিপুরা সফর করলেন ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি। শুক্রবার তিনি ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়াতে ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করেন।লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি ঘুরে দেখেন বিভিন্ন সীমান্ত চৌকি। ওপারের পরিস্থিতি নিয়ে বিএসএফ, আসাম রাইফেলসের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেন।
ত্রিপুরার তিন দিকেই বাংলাদেশ সীমান্ত।বাংলাদেশের মধ্যে থাকা ভারত বিরোধী শক্তি যে কোনো সময় টার্গেট করতে পারে ত্রিপুরাকে। শত্রুদের আটকাতে ভারতীয় সেনা, বিএসএফ ও আসাম রাইফেলস সহ রাজ্যের মেজর স্ট্রাইকিং ফোর্স টিএসআর ও পুলিশ প্রস্তুত। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারির ত্রিপুরা সফর যথেষ্ট তাৎপর্য পূর্ণ।
ভারত – বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে ত্রিপুরা হবে ভারতীয় সেনার মূল ঘাঁটি। ১৯৭১- র ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধের সময়েও ত্রিপুরার মাটিকেই সবচেয়ে ব্যবহার করেছিলো ভারতীয় সেনা। এবারও যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ভারতের দিকে ঢিল আসে, তাহলে ত্রিপুরার পবিত্র ভূমিকে ব্যবহার করেই বীর সেনারা এক লহমায় ইউনূসের বাংলাদেশকে গ্রাস করে নেবে। এটা নিশ্চিত। বলছেন প্রাক্তন সেনা কর্তারা।
ভারতীয় সেনার খবর অনুযায়ী, ত্রিপুরার তিন সীমান্তেই জোরদার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ভারতীয় সেনা ও আধা সেনা।পরিস্থিতি অবনতি হলে মুহূর্তেই ইউনূসদের মুন্ডছেদ করতে কার্পণ্য করবে না ভারত। ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলিতে সক্রিয় ভাবে কাজ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। এই সমস্ত কারণেই দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়াতে ঝটিকা সফর করেন সেনার ইস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা শুক্রবার তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ” প্রস্তুত ত্রিপুরা।কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত মিললেই শুরু হবে অপরেশন।”ঘুর পথে এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।

