“হিন্দু রিকশা চালক বারবার পুলিশকে বলছেন, “স্যার আমার রিকশাটা নিয়ে আসি।” কিন্তু তাঁকে এই সময় দেওয়া হয় নি। ইউনূসপন্থীদের মারে রক্তাক্ত রিকশা চালক স্থানীয় হাসপাতালে দাঁড়িয়ে আছেন জীবন – মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।”
ডেস্ক রিপোর্টার,২২ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের নতুন নিদর্শন। ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘ র ‘ এজেন্ট সন্দেহে হিন্দু রিকশা চালককে রক্তাক্ত করলো ইউনূসপন্থীরা।পুলিশের সামনে থেকেই তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।রিকশা চালকের অপরাধ, সে নিজের হাতে বেঁধে ছিলো লাল সুতো। হাতে লাল সুতো বাঁধা হিন্দুদের ধর্মীয় রীতির অংশ।ঘটনা বাংলাদেশের ঝিনাইদহে। হিন্দু রিকশা চালক বারবার পুলিশকে বলছেন, “স্যার আমার রিকশাটা নিয়ে আসি।” কিন্তু তাঁকে এই সময় দেওয়া হয় নি। ইউনূসপন্থীদের মারে রক্তাক্ত রিকশা চালক স্থানীয় হাসপাতালে দাঁড়িয়ে আছেন জীবন – মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

পরিস্হিতি এমন এক জায়গাতে ঠেকেছে, কোন না কোন অজুহাতে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করবে কট্টরপন্থীরা। কখনো ধর্ম অবমাননা, আবার কখনো “র” এজেন্টের তকমা দিয়ে হিন্দুদের কুতল করাই হলো ইউনূসপন্থী লোকজনের মূল উদ্দেশ্য। প্রশাসন নামক জিনিস বলতে কিছুই নেই। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেকোন সময় মৌলবাদীরা হিন্দু গ্রামে প্রবেশ করে লাশের মিছিল বানিয়ে দেবে। তারপরও চুপ থাকবে বাংলাদেশের নিরো মো: ইউনূস।

অবাক করার মতো বিষয় দীপু দাস হত্যাকাণ্ড ও “র” এজেন্ট সন্দেহে গরিব রিকশা চালককে রক্তাক্ত করার পরও বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের নানান সংগঠন মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন। সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সংগঠন কথাই বলতে চাইছে না। তাদেরকে ভয়ে কাবু করে রেখেছে। এটা বাস্তব বাংলাদেশের হিন্দু সহ সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে যে সাহসের প্রয়োজন তারা তা দেখাতে পারছে না। এটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের। এই পরিস্হিতি চলতে থাকলে আগামী দিনে বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দু নামটিই যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

