রবিবার রাতে ত্রিং উৎসব সেরে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পর অটোতে যাত্রীরা রমেশ দেববর্মাকে নিয়ে তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে আসে। এই সময় তার শরীরের থাকা জামা কাপড় ছিলো সম্পূর্ণ ভিজা। যাত্রীরা রমেশকে হাসপাতালে রেখে নিজেদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর চলে যায়। সারারাত ভিজা কাপড়ে হাসপাতালে চটপট করছিল রমেশ।
তেলিয়ামুড়া ডেস্ক, ২২ ডিসেম্বর।।
ত্রিং উৎসব সেরে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা খোয়াই নদীতে ঝাঁপ দেয় একটি দ্রুতগামী অটো। তাতে গুরুতর আহত হয় অটোর চালক। তার নাম রমেশ দেববর্মা। বাড়ি মুঙ্গিয়াকামীর হলদিয়াতে। অটোতে থাকা তিন যাত্রীও অল্প বিস্তর আহত হয়েছে। বর্তমানে আগরতলার জিবি হাসপাতালে রমেশ দেববর্মা চিকিৎসাধীন। ঘটনা রবিবার রাতে। ঘটনাস্থল তেলিয়ামুড়ার চাকমাঘাটের বিশ্বকর্মা মন্দির এলাকার জাতীয় সড়কে।
আহত অটো চালকের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, রবিবার রাতে ত্রিং উৎসব সেরে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পর অটোতে যাত্রীরা রমেশ দেববর্মাকে নিয়ে তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে আসে। এই সময় তার শরীরের থাকা জামা কাপড় ছিলো সম্পূর্ণ ভিজা। যাত্রীরা রমেশকে হাসপাতালে রেখে নিজেদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর চলে যায়। সারারাত ভিজা কাপড়ে হাসপাতালে চটপট করছিল রমেশ।সোমবার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ শাশ্বতী মজুমদার রমেশ দেববর্মাকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে জিবি হাসপাতালে রেফার করেন।
প্রশ্ন হচ্ছে অটো চালক রমেশ দেববর্মা সারা রাত ভিজা কাপড়ে হাসপাতালে ব্যাডে শুয়ে থাকলেও রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক – নার্সরা কি তাকে দেখেন নি? বা তারা কেন পারলেন না কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করতে?

