মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, ” একজন বন্ধুকে হারালাম। তিনি একদিকে যেমন রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন, পাশাপাশি কবিতা, সাহিত্য, নাটক, যাত্রা পালা নিয়েও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতেন। স্পিকার হিসাবে বিধানসভায় দারুন বুদ্ধিমত্তার ছাপ রেখেছেন বিশ্ব বন্ধু।

ডেস্ক রিপোর্টার,২৭ ডিসেম্বর।
           রাজ্যে এলো রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের মরদেহ। শনিবার রাজ্য বিধানসভায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সন্মান জানানো হয় তাকে। শবদেহ আগরতলা বিমান বন্দর থেকে নিয়ে আসা হয় বিধানসভা ভবনে। সেখানে রাজ্য বিধানসভার সমস্ত সদস্যরা অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি। রাজ্যপাল প্রয়াত অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের শবদেহ মাল্যদান করে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর বিধানসভার সদস্যরা একে একে শ্রদ্ধা জানান। বিশ্ব বন্ধু সেনকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, ” একজন বন্ধুকে হারালাম। তিনি একদিকে যেমন রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন, পাশাপাশি কবিতা, সাহিত্য, নাটক, যাত্রা পালা নিয়েও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতেন। স্পিকার হিসাবে বিধানসভায় দারুন বুদ্ধিমত্তার ছাপ রেখেছেন বিশ্ব বন্ধু।”


রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দল নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীও অধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেনকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বিশ্ববন্ধু সেন বিরোধী শিবিরে থাকলেও তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো দারুন।বিধানসভায় কাব্যিক ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করতেন। তা আমরা উপভোগ করতাম।
             এদিন রাজ্য বিধানসভায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেনকে শ্রদ্ধা জানানোর পর শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগরস্থিত ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য দপ্তরে। সেখানে বিজেপির নেতারা তাকে শ্রদ্ধা জানান। এরপর দলের নেতা- কর্মীরা অধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেনের শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিজের গড় ধর্মনগরে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *