
গন্ডাছড়া ডেস্ক,৩রা মে।।
মনে হয় একেই বলে আজব রাজ্যের গজব কান্ড। ষাট শতাংশ পলিযুক্ত বালি আনক্লাস ইট আর নামমাত্র সিমেন্ট দিয়ে চলছে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার মার্কেট শেড এবং স্টল নির্মাণের কাজ।বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে গত চার মাস যাবত বেআইনিভাবে অবৈধভাবে হুক লাইনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের কমপ্লেকসে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চলেছে নির্মাণ সংস্থা।চোখ থাকতে অন্ধত্বের ভূমিকায় রয়েছে ওই নির্মাণ কাজের ইঞ্জিনিয়ার সহ সুপার ভাইজিং অফিসাররা।বেজায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। এই সীমাহীন দুর্নীতির ঘটনা ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারে।

গন্ডাছড়া ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল মহকুমা সদর বাজারে একটি আধুনিকমানের মার্কেট স্টল এবং শেড নির্মাণ করার। ব্যবসায়ীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকার আধুনিকমানের মার্কেট নির্মাণের জন্য নাবার্ড থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।ওই নির্মাণ কাজের বরাত পায় মহকুমার বহিরাগত এক ঠিকাদার সংস্থা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদার। নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে নির্মাণ কাজের গুনগতমান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
অভিযোগ নির্মাণ কাজে যে বালি ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বালিগুলি ষাট শতাংশ পলিমাটি যুক্ত। নির্মাণ কাজে যেসমস্ত ইট ব্যবহার করা হচ্ছে সেই ইটগুলির কোনো ক্লাস নেই। এক কথায় আনক্লাস ইট দিয়েই চলছে নির্মাণ কাজ। নামমাত্র সিমেন্ট দিয়ে চলছে ফাউন্ডেশন ঢালাইর কাজ।

অভিযোগ নিম্নমানের ঢালাই দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার “জনতার মশাল”র প্রতিনিধি নির্মাণস্থলে পা রাখতেই নির্মাণস্থল থেকে পালিয়ে যায় সাইড ম্যানেজার। নির্মাণ স্থলে গিয়ে দেখা গেলো আরো একটি দিনে ডাকাতির ঘটনা। নির্মাণ কাজের গোটা কমপ্লেক্সের ফ্লাড লাইট, লেভার শেডের সমস্ত লাইট এবং বিভিন্ন মেশিনারি অবৈধ ভাবে হুক লাইনের মাধ্যমেই চালিয়ে যাচ্ছে এই নির্মাণ সংস্থা। অথচ গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন ফিডকো কোম্পানির গন্ডাছড়া মহকুমার বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা। গোটা নির্মাণ কাজ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নির্মাণস্থলে গিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত কাউকে না পাওয়া গেলেও একজন শ্রমিককে কিছু জিজ্ঞাসা করতেই আমতা আমতা করে নিজেকে বাঁচিয়ে কিছু বললেন।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ওই নির্মাণ কাজের গোড়ায় কোন দিনই কোনো ইঞ্জিনিয়ারকে দেখা যায়নি। অনেকের অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়ার এবং সুপার ভাইজিং অফিসারদের মুখে হারগোর পড়েছে বলেই চোখ থাকতে অন্ধত্বের ভূমিকা পালন করে চলেছে অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর।