ডেস্ক রিপোর্টার, ২৪সেপ্টেম্বর।।
২৩শে প্রত্যাবর্তন করতে মরীয়া শাসক দল বিজেপি।সংগঠনের পাশাপশি প্রশাসনকেও সুনিপুণ ভাবে ব্যবহার করতে চাইছে শাসক দল।সরকারের “ঘরে ঘরে সুশাসন” কর্মসূচিকে অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে এবার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিলো রাজ্য প্রশাসন।
রাজ্য মহাকরণ সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব জেকে সিনহার নেতৃত্বে কুড়ি সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে।এই টিমে থাকা প্রতেক্যেই প্রথম সারির অফিসার। “ঘরে ঘরে সুশাসন” কর্মসুচিকে পৌঁছে দিতে কাজ করবেন গঠিত টিমের অফিসাররা। সূত্রের দাবি, আমলারা ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করবেন। তারা যাবেন মানুষের বাড়ী বাড়ি। কথা বলবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।মানুষের কাছ থেকে তাদের সমস্যার কথা জানবেন। এবং সমস্যা সমাধানও করে দেবেন।
আমলারা সাড়া রাজ্য ঘুরে তৈরী করবেন রিপোর্ট।এই রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত ভাবে করা হবে পর্যালোচনা। মানুষের ঘরে ঘরে সুশাসন পৌঁছে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর থাকবে এই প্রশাসনিক টিম। খবর, ইতিমধ্যে মুখ্য সচিব জে কে সিনহা গঠিত টিম নিয়ে বেশ কয়েকবার ম্যারাথন বৈঠক করে তৈরি করেছে রোডম্যাপ। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করবে আমলাদের দল। প্রশাসনিক দল যখন মানুষের ঘরে ঘরে যাবে তখন সঙ্গে থাকবে পুলিশও।
কারণ নানান কারণে বিক্ষিপ্ত ভাবে সাধারণ মানুষ সরকারের উপর ক্ষুব্ধ।এই ক্ষোভকে কাজ লাগিয়ে বিরোধীরা আমলাদের প্রতিনিধি দলকে নানান ভাবে হেনস্থা করতে পারে।এই কারণেই আমলারা সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকেও রাখতে চাইছে। তাছাড়া গোটা টিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন এসপি স্তরের পুলিশ আধিকারিকরাও।
রাজনীতিকদের বক্তব্য, ঘরে ঘরে সুশাসনকে পৌঁছে দেওয়ার প্রশাসনিক এই উদ্যোগ বিজেপিকে অতিরিক্ত অক্সিজেন দিতে পারে।কারণ ইতিমধ্যে বিজেপি সরকার সমস্ত রকমের সামাজিক ভাতা দুই হাজার টাকা করে হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে। অক্টোবর মাসেই মানুষ পেয়ে যাবে ভাতার টাকা।সরকারী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন। এই সামাজিক ভাতার প্রভাবও পড়বে ভোট বাজারে। তারমধ্যে আমলারা বাড়ী বাড়ী ভিজিট করলে নিঃসন্দেহে সরকারের প্রতি আস্থা বাড়বে মানুষের। আর এই বিষয়টিকে কাজে লাগাতেই আমলাদের মাঠে নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
