
ডেস্ক রিপোর্টার, ৯জুলাই।।
রাজধানীতে ঠিকাদার অপহরন কাণ্ডে পুলিশী তদন্ত এখনো অথৈ জলে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশী তৎপরতা ছিলো দেখার মতো। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে, পুলিশী তদন্ত ততোই থিতিয়ে পড়ছে। ঠিকাদার শ্যামল অপহরন কাণ্ডের মূল শিকড় কোথায়? এটা সবাই জানে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ভালো করেই ওয়াকিবহাল।পুলিশী তদন্তের আতশ কাচের নিচে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে খোয়াই নিগোসিয়েশন কাণ্ডের মগর মাছকে। তারপরও পুলিশ রহস্য জনক কারণে নিশ্চুপ। এবং মগর মাছকে কায়দা করে তদন্তের রাডারের বাইরে রাখছে অনুসন্ধানকারী পুলিশ।
খোয়াই অঞ্চলে কান পাতলেই শোনা যায়, সংস্কৃতির নগরী এখন অপরাধ নগরীতে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ, তার পেছনে থাকা মূল মাষ্টার মাইন্ড মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার। খোয়াইয়ের মানুষের মুখে মুখে সুব্রতর দুর্নীতির গুঞ্জন। ঠিকাদার অপহরন কাণ্ডে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে পিন্টু রায়কে।সে এখন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে।নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে রাজধানীর পশ্চিম থানায়। পিন্টু কে? মহামান্য নিগো দস্যু বিজেপির খোয়াই মণ্ডলের সম্পাদক।

খোয়াই অঞ্চলে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের মূল বাজার করে পিন্টু। এই বাজারের আড়তদার কে? শুনলে সবাই চমকে উঠবেন। অভিযোগ, খোদ মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার। খোয়াই অপরাধ জগতের সুব্রতর নির্দেশে মরণ দাস অঙ্কুর দেবনাথ, মিঠন গোপ, অর্জুন সূত্রধররা নিগো বাণিজ্যের পণ্যদের ধরে আনে। এই চেইনের মাধ্যমে সুব্রত মজুমদার চুটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন নিগোসিয়েশন বাণিজ্য। দীর্ঘ দিন ধরেই সুব্রত ও তার সাগরেদরা খোয়াইকে এক অন্ধকার নগরীতে পরিণত করেছে। তাদের কথা বিনা কোনো ঠিকাদারের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার দীর্ঘ দিন ধরেই তার মৌসূরী পাট্টা চালিয়ে রেখেছেন গোটা অঞ্চলে।।কিন্তু তার বিরুদ্ধে কেউ খোলার সাহস করছে না।

অভিযোগ খোয়াই মহকুমাতে মাফিয়ারাজের ঠিকা নিয়ে রাখা মণ্ডল সভাপতি সুব্রত নিগোসিয়েশনের কালো টাকায় নিজের সিন্দুক স্ফীত করে নিয়েছেন। খোয়াইয়ে গুঞ্জন সুব্রত মজুমদার আগরতলায় বাড়ি ক্রয় করেছেন। কলকাতাতেও নাকি রয়েছে তার ফ্ল্যাট। সব মিলিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর অনেকের মতো সুব্রত মজুমদারের ঘরেও লক্ষ্মী প্রবেশ করেছে।

খোয়াইয়ের বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, মণ্ডল সম্পাদক পিন্টু রায়কে সামনে রেখে প্রতিমাসে নিগো বানিজ্যকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা আদায় করছেন সুব্রত মজুমদার।। ভয়ে তটস্থ ঠিকাদাররাও। তার জ্বলন্ত প্রমাণ ঠিকাদার শ্যামল অপহরন কাণ্ড।প্রশ্ন হচ্ছে, অপহৃত ঠিকাদার শ্যামল দেবও তদন্তকারী পুলিশের কাছে মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের নাম উল্লেখ করেছেন। শ্যামল নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযোগ পত্রে সুব্রত মজুমদারের নাম দেন নি। কিন্তু তিনিই যে নিগোসিয়েশন কাণ্ডের মাষ্টার মাইন্ড তাও শ্যামল খোলসা করেছেন পুলিশের কাছে।যদিও রাজধানীর পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজেদের গেরুয়া বাড়ির পৃষ্ঠপোষক করে তুলার জন্য খোয়াই মণ্ডলের দুর্নীতিবাজ সভাপতি সুব্রত মজুমদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।

খোয়াই লোকজনের বক্তব্য, ১৮ থেকে ২৩র মধ্যে সুব্রত মজুমদার এতো সম্পত্তি কিভাবে বানিয়েছেন ? তার টাকার উৎস কোথায়? পুলিশ ও ভিজিলেন্স তদন্ত করলেই সুব্রত মজুমদারের কালো টাকার সিন্দুকের হাদিস পেয়ে যাবে। এটা ভালো। করে জানে পুলিশ। তারপরও মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে কাপছে পুলিশের হাত – পা।

খোয়াই এলাকার লোকজনের কাছে মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের দুর্নীতির রিপোর্ট কার্ড রয়েছে। মণ্ডল সভাপতির নির্দেশ ব্যতীত মণ্ডল সম্পাদক পিন্টু রায় ও অন্যান্য নেতারা যে নিগো বাণিজ্য করতে পারবে না, এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।তাই মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের নির্দেশেই খোয়াই জুড়ে চলছে অনাচার।তারপরও মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার কেন আসছেন না পুলিশের তদন্তের রাডারে? এর পেছনে যে মস্ত বড় রহস্য কাজ করছে,এই সম্পর্কে খোয়াইয়ের মানুষ অবগত।

হাস্যকর! সম্প্রতি গুরু পূর্ণিমাতে খোয়াইয়ের মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারকে গুরু সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।সঙ্গে খোয়াইয়ের অন্যান্য নেতারাও ছিলেন।দুর্নীতি অক্টোপাসে জড়িত একজন নেতাকে গুরু সন্মান দিয়ে আক্ষরিক অর্থে এই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুদের অপমান করা হয়েছে বলেই মনে করছে খোয়াইয়ের মানুষ। ছি: ছি:।