এবারের দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। প্রতিটি মণ্ডপ সিসিটিভি ক্যামেরায় আওতায় আনা হয়েছে। এবারে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উদযাপন সম্পন্ন করতে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ৩২ লক্ষ টাকা এবং প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
* ঢাকা থেকে সমীরণ রায় *
________________________
বাংলাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ। পাড়া-মহল্লায় পূজামন্ডপ সাজ-সজ্জায় তরুণ-তরুণীরা। শুভ মহালয়ার মাধ্য দিয়ে রবিবার শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী তিথিতে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার-এমন স্লোগানকে সঙ্গী করে বাংলাদেশ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পালন হয়ে থাকে। পূজা ঘিরে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে থাকছে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রবেশপথে আর্চওয়ে গেট মেটাল ডিটেকটর থাকলেও সেটি অকার্যকর। প্রবেশ গেটে চেকপোস্ট বা হ্যান্ডহোল্ড মেটাল ডিটেকটরের ব্যবস্থা নেই।
সোমবার ঢাকার অদূরে শিল্পসমৃদ্ধ নারায়ণগঞ্জের পূজা মন্ডপ পরিদর্শণে যান দেশটির স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। শহরের রামকৃষ্ণ মিশনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে জানালেন, এবারের দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। প্রতিটি মণ্ডপ সিসিটিভি ক্যামেরায় আওতায় আনা হয়েছে। এবারে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উদযাপন সম্পন্ন করতে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ৩২ লক্ষ টাকা এবং প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এ বছর বাংলাদেশ জুড়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবারে ঢাকা মহানগরে তাকছে ২৫৮টি পূজামণ্ডপ। ঢাকার মণ্ডপগুলোতে প্রতিমায় রং-তুলির কাজ ও সাজসজ্জা চলছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রবেশপথে আর্চওয়ে গেট মেটাল ডিটেকটর থাকলেও সেটি অকার্যকর। প্রবেশ গেটে চেকপোস্ট বা হ্যান্ডহোল্ড মেটাল ডিটেকটরের ব্যবস্থা নেই। মূল পূজামণ্ডপে প্রবেশ গেটে একটি আর্চওয়ে মেটাল ডিটেকটর থাকলেও চেকিং ছাড়াই দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

তবে মন্দিরের প্রথম গেটের ভেতরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরাও র্যাব ব্যাটালিয়ন সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্টী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর পূজা শেষে মা দূর্গা আবারো কৈলশে ফিরে যাবেন। ওইদিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী দূর্গোৎসবের শেষ হবে।