রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় যাবজ্জীবনের সাজা হতে পারে প্রভু চিন্ময় দাসের।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালত
এদিনও চিন্ময় দাস প্রভুর আইনজীবীদের সঙ্গে আদালত চত্বরে দুর্ব্যবহার করেছে জামাত ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর ফলে আদালত চত্বরে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। যদিও চিন্ময় দাস প্রভুর আইনজীবীরা ধৈর্য সহকারে বিচারকের সামনে তাদের সাওয়াল জবাব তুলে ধরেন।
আদালতে চিন্ময় দাস প্রভুর হয়ে ১১ জন আইনজীবীর একটি দল সাওয়াল করেন। তারা প্রত্যেকেই হিন্দু।
ডেস্ক রিপোর্টার, ২জানুয়ারি।। বাংলাদেশের ইউনূস সরকার একের পর এক সেই দেশের সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছে আদালত থেকে। কিন্তু হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুর জামিন আটকে দিয়েছে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার প্রভু চিন্ময় দাসের মামলার শুনানি হয়েছিল আদালতে। এই মামলার উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সাওয়াল জবাব পর্যবেক্ষণের পর বিচারক জানিয়ে দেন,” রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর শুধু গ্রেফতার নয়, এই মামলায় তাঁর যাবজ্জীবনের সাজা হতে পারে।
।।বিজ্ঞাপন।।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে চিন্ময় দাস প্রভুর হয়ে ১১ জন আইনজীবীর একটি দল সাওয়াল করেন। নেতৃত্বে ছিলেন অপূর্বকুমার ভট্টাচার্য।আগের শুনানি পর্বে সিনিয়র আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ চট্টগ্রামে গিয়ে চিন্ময় প্রভুর হয়ে সওয়াল করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুর হয় কোনো আইনজীবী যেন আদালতে না দাড়ান তার জন্য জারি করা হয়েছিল হুলিয়াও।
এদিন আদালতে চিন্ময় দাস প্রভুর জামিন মঞ্জুর না হওয়ার প্রেক্ষিতে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, ” এই মামলা বর্তমানে তদন্ত চলছে। আদালতে এখনো পুলিশ তদন্তের রিপোর্ট জমা করেনি। যেহেতু মামলাটি রাষ্ট্রদ্রোহের এবং স্পর্শকাতর, তাই তদন্ত রিপোর্ট ব্যতীত আদালত চিন্ময় দাস প্রভুর জামিন দিতে পারে না। এই প্রেক্ষাপট থেকেই চিন্ময় দাস প্রভুর জামিন নামঞ্জুর বলে ঘোষণা করেছেন বিচারক।”
এই ঘটনার পর চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনের ৬০ জন হিন্দু আইনজীবীর বিরুদ্ধে সাইফুল হত্যার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।
গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করেছিলই ঢাকা পুলিশ। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে। তখন চিন্ময় দাসের অনুগামীরা আদালত চত্বরে তার গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ছিল। এই সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ পাল্টা হামলা চালিয়েছিল প্রতিবাদী জনতার উপর। তৎ সময়ে সাইফুল নামক এক আইনজীবী খুন হয়েছিলো। বাংলাদেশ পুলিশের অভিযোগের তীর ছিলো, আন্দোলনকারীদের দিকে। এই ঘটনার পর চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনের ৬০ জন হিন্দু আইনজীবীর বিরুদ্ধে সাইফুল হত্যার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।
তথ্য অনুযায়ী, এদিনও চিন্ময় দাস প্রভুর আইনজীবীদের সঙ্গে আদালত চত্বরে দুর্ব্যবহার করেছে জামাত ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর ফলে আদালত চত্বরে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। যদিও চিন্ময় দাস প্রভুর আইনজীবীরা ধৈর্য সহকারে বিচারকের সামনে তাদের সাওয়াল জবাব তুলে ধরেন।