“শাহজালাল বিমানবন্দরের পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি স্থানে কার্গো ভিলেজ। আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এটির অবস্থান বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের পাশে। এই গেটকে হ্যাঙ্গার গেট বলা হয়। আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গেট আছে ৩টি। আগুন লাগে কমপ্লেক্সের উত্তর দিকে, ৩ নম্বর গেটের পাশে।”
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন। এ আগুনের কারণে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় ২৬৭ যাত্রীসহ কুয়েতের ফ্লাইট বাতিল, একাধিক ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের ৩৭ ইউনিট কাজ করছে। সন্ধ্যা ৭টার সময়ও আগুন জ্বলছিল। ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের (পণ্য রাখার স্থান) যে অংশে আগুন লেগেছে, সেখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। আগুন লাগার ৪ ঘণ্টা পরও কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স থেকে প্রচুর ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় লাগায় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিটও কাজ করছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর, যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীও। দুই প্লাটুন বিজিবিও সেখানে কাজ করছে।
একাধিক ফ্লাইট আকাশ থেকেই দেশ–বিদেশের অন্য বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি স্থানে কার্গো ভিলেজ। আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এটির অবস্থান বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের পাশে। এই গেটকে হ্যাঙ্গার গেট বলা হয়। আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গেট আছে ৩টি। আগুন লাগে কমপ্লেক্সের উত্তর দিকে, ৩ নম্বর গেটের পাশে।এদিকে, রাজধানী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়েতগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আটটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের পরিবর্তে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এ ছাড়া একাধিক ফ্লাইট আকাশ থেকেই দেশ–বিদেশের অন্য বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িক স্থগিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িক স্থগিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বিকেল পৌনে চারটার দিকে ২৬৭ জন যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট কুয়েতের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রী, কেবিন ক্রু ও পাইলটরাও বিমানে উঠে বসেছিলেন। আগুনের কারণে ফ্লাইট ছাড়ার আগমুহূর্তে যাত্রীসহ সবাইকে নামিয়ে আনা হয়। এ ছাড়া হিমালয় এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ১৮০ জন যাত্রীসহ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। পরে সেটাকে নেপালে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দুবাই থেকে ছেড়ে আসা এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট করাচি বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।
চেন্নাই থেকে ছেড়ে আসা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
চেন্নাই থেকে ছেড়ে আসা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরগামী বাটিক এয়ারের ওডি–১৬৩ ফ্লাইট এবং ঢাকা থেকে মুম্বাইগামী ইন্ডিগোর ৬ই–১১১৬ ফ্লাইট ট্যাক্সিওয়েতে অপেক্ষা করছে। ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি অবতরণ করেছে চট্টগ্রামে। দিল্লি থেকে ঢাকা আসা ইন্ডিগোর ফ্লাইট অবতরণ করেছে কলকাতায়। এয়ার এরাবিয়ার শারজাহ থেকে ঢাকা আসা ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। হংকং থেকে ঢাকা আসা ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইনসের বিমানটি অবতরণ না করতে পেরে আকাশে চক্কর দিচ্ছে। আগুনের পরিস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে উড্ডয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৈয়দপুর থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ না করে চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। একইভাবে ইউএস–বাংলা এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর পুনরায় চট্টগ্রামে ফিরে গেছে।উড়োজাহাজ থেকে মালামাল ওঠানো–নামানোয় যুক্ত থাকা কোম্পানি ভয়েজার এভিয়েশনের গাড়িচালক মো. রাসেল মোল্লা বলেন, আগুন লাগার সময় তার গাড়িটি আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের ১০০ মিটারের মধ্যে ছিল। তিনি সেখান থেকে গাড়িটি দ্রুত সরিয়ে নেন। এ সময় ভেতরে থাকা মানুষদের বের করে দেওয়া হয়। শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে সাধারণত তুলনামূলকভাবে কম ওজনের যন্ত্রপাতি, পচনশীল পণ্য, ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। তবে আগুনের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখনো জানা যায়নি। তবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা করেছেন আমদানিকারকেরা। আকাশপথে পণ্য পরিবহনকারী আরএমকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান ইবনে আমিন সোহাইল বলেন, এ ঘটনায় আমদানিকারকদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বোঝা যাবে, ক্ষয়ক্ষতি কত হয়েছে কিংবা কবে নাগাদ আবার কার্গো ভিলেজ চালু করা যাবে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয়টি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটটি এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইট অবতরণ করে।