“গোটা বিশ্ব জানে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটাই সত্য, এটাই ইতিহাস। এখানে মো: আলী জিন্নাহ’র কোনো স্থান নেই। এই মৌলিক সত্য এখন অস্বীকার করছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির চাইরা। তা করা মানে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শহীদের আত্মত্যাগ এবং রাষ্ট্রের জন্ম কথার সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা করা।”

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৪ ডিসেম্বর।।
                  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি ভাবেই পাকিস্তানীদের দখলে। তার প্রমান দিয়েছে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব। বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান এই প্রেস ক্লাবে ঘটা করে পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জাতির জনক মো: আলি জিন্নাহ’র ১৪৯ তম জন্ম বার্ষিকী।২২ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এক আলোচনাসভার আয়োজন করে নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি। এই কর্মসূচির বিরোধিতা করে সেখানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশের সচেতন যুবক সমাজ। তারা এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। গত দুই দশক আগে বাংলাদেশে পলিত হয়েছিল “জিন্নাহ উৎসব”। এখন ইউনূস জামানায় ফের বাংলাদেশ জুড়ে পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জাতির জনক মো: আলী জিন্নাহ’র জন্মদিন।


গোটা বিশ্ব জানে স্বধীন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটাই সত্য, এটাই ইতিহাস।

গোটা বিশ্ব জানে স্বধীন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটাই সত্য, এটাই ইতিহাস। এখানে মো: আলী জিন্নাহ’র কোনো স্থান নেই। এই মৌলিক সত্য এখন অস্বীকার করছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির চাইরা। তা করা মানে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শহীদের আত্মত্যাগ এবং রাষ্ট্রের জন্ম কথার সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা করা।


বাংলাদেশের মানুষের নিশ্চয় মনে আছে, বিগত বিএনপি–জামায়াত সরকারের আমলে কীভাবে জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী, জম্ম বার্ষিকী পালনের মতো ঘটনাগুলো ঘটেছিল পদ্মাপড়ের ঘরে ঘরে।

বাংলাদেশের মানুষের নিশ্চয় মনে আছে, বিগত বিএনপি–জামায়াত সরকারের আমলে কীভাবে জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী, জম্ম বার্ষিকী পালনের মতো ঘটনাগুলো ঘটেছিল পদ্মাপড়ের ঘরে ঘরে।সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর আবারও ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে মো: আলী জিন্নাহ’র জন্মদিন পালিত হওয়ার ঘটনায় ভেঙ্গে পড়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ। তাদের কাছে পাকিস্তানের জাতীর জনক মো: আলী জিন্নাহ’র জন্ম দিন পালন করা
শুধু বিস্ময়কর নয়, বরং গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ।

বাংলাদেশের মুক্তমনা নগরিকরা বলছেন, এটি কোনো নিরীহ সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়। এটি একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা।

বাংলাদেশের মুক্তমনা নগরিকরা বলছেন, এটি কোনো নিরীহ সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়। এটি একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা। যে বার্তা জানিয়ে দেয়—বাংলাদেশে এখনো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি  সক্রিয়। এবং তাদের পাকিস্তান প্রীতি এখনো অটুট। যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজও জিন্নাহকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরে ইতিহাসের চাকা উল্টো ঘোরানোর চেষ্টা করছে।


জিন্নাহ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে মূলত তিনটি লক্ষ্য স্পষ্ট হয়— বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুর্বল করা এবং নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা।

জিন্নাহ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে মূলত তিনটি লক্ষ্য স্পষ্ট হয়— বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুর্বল করা এবং নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য যাদের রাজনীতির ভিত্তি, তারা আজও জিন্নাহকে “জাতির পিতা” মনে করে। আর তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায়—তাদের অবস্থান বাংলাদেশের পক্ষে নয়, বরং পাকিস্তানের পক্ষে।স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানের জাতির পিতার বন্দনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটি শুধু রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের প্রশ্ন নয়—এটি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় আত্মপরিচয়ের ওপর সরাসরি আঘাত।
               বাংলাদেশে জিন্নাহ উৎসব পালিত হওয়ার বিষয়টি ভারতের জন্যও উদ্বেগের। কারণ বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থীরা সক্রিয় হলে, তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টি চেষ্টা করবে।স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশ নিয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হবে ভারতকে।
  


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *