বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’কে ঘিরে ফেলে ভারতীর উপকূল রক্ষী বাহিনী।
ভারতীয় জল সীমায় উপকূল রক্ষী বাহিনীর টহল(ছবি – এফবি)
এই ঘটনার পর বাংলাদেশের ইউনূস সরকার ভারতের সঙ্গে টু শব্দ করার সাহস করে নি। ধৃত বাংলাদেশীরা এখনো ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হেফাজতে। এই ঘটনার পর ইউনূস কেন ভারতের সঙ্গে কথা বলার দুঃসাহস করছেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে খোদ বাংলাদেশীরাই।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ ডিসেম্বর।। আন্তর্জাতিক জল সীমানায় ফের বড় সাফল্য পেল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী । এবার হাতেনাতে ৭৮ জন বাংলাদেশীকে ধরল ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড। অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়া দুটি বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকাকে ধরে ফেলল করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ধৃতরা কি শুধুই জেলে? নাকি তাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে জঙ্গি যোগ। তাও খতিয়ে দেখছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই ঘটনার পর বাংলাদেশের ইউনূস সরকার ভারতের সঙ্গে টু শব্দ করার সাহস করে নি। ধৃত বাংলাদেশীরা এখনো ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হেফাজতে। এই ঘটনার পর ইউনূস কেন ভারতের সঙ্গে কথা বলার দুঃসাহস করছেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে খোদ বাংলাদেশীরাই।
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রতিটি আনাচে-কানাচে মোতায়েন রয়েছে লোকবল। তারা ভারতীয় জল সীমায় নজর রাখছে তক্কে তক্কে। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে ভারতীয় জলসীমায় বাংলাদেশের দুটি নৌকা চলে আসার বিষয়টিও নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
।।বিজ্ঞাপন।।
আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমানা রেখা অর্থাৎ আইএমবিএল- র কাছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজটি নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে। টহলদারি চলাকালীন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ভারত মহাসাগর এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধির খবর পায়। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি নৌকা ধরার জন্য ঝাপিয়ে পড়ে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। তারা বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’কে ঘিরে ফেলে।বিনা অনুমতিতে নৌকা গুলি কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে মাছ ধরতে এসেছে? ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর এই প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারিনি ওপারের সন্দেহ জনক জেলেরা।
।।আটককৃত নৌকা।।( ছবি – এফ বি)
ভারতীয় কোস্টগার্ড তাৎক্ষণিকভাবে নৌকা দুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আটক করে এবং দেখতে পায় যে নৌকাগুলি বাংলাদেশে নিবন্ধিত এবং এতে ৪১ ও ৩৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক।তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
কোস্টগার্ড এই অভিযানকে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেছে।
নি:সন্দেহে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে এটি একটি বড় সাফল্য। কোস্টগার্ড এই অভিযানকে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেছে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেশের জল সীমায় এই পদক্ষেপটি কেবল ভারতীয় সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষার জন্যই নয়, অবৈধ ক্রিয়াকলাপের উপর নিবিড় নজর রাখতেও। তারা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, অবৈধ কার্যকলাপ রোধে এই সংক্রান্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।