বাংলাদেশে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীণ সরকার পতনের পর আড়ালে চলে যান দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতারা। পরে চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগসহ সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর দলটির নেতাকর্মীরা দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে কে কখন গ্রেপ্তার হন সেই অজানা আতঙ্ক।

                #ঢাকা থেকে সমীরণ রায়#
             ___________________________

বাংলাদেশে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনীতিতে পারদ উঠা নামা করছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন ইস্যুতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরইমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ রিফাইন্ড হওয়া ও নতুন নেতৃত্ব আসছে এমন গুঞ্জন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। ফলে দলটির হাল ধরতে পারেন সাবকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী, ঢাকা-৯ আসনের সাবেক এমপি এবং  আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরী ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরিণ শারমীন চৌধুরী।
এদিকে, বাংলাদেশে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের মধ্য দিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ভারতে চলে যান। এরইমধ্যে চলতি বছরের ১২ মে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

সঙ্গত কারণে রাজধানীর গুলশানে সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিনটি দেশের কূটনৈতিকদের গোপন বৈঠক নতুন করে দলটির রিফাইন্ড নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাংলাদেশে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীণ সরকার পতনের পর আড়ালে চলে যান দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতারা। পরে চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগসহ সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর দলটির নেতাকর্মীরা দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে কে কখন গ্রেপ্তার হন সেই অজানা আতঙ্ক। যেহেতু আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতা বিদেশে অবস্থান করছেন। দলটির অনেক শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর যারা গ্রেপ্তার হননি, তারা রয়েছেন আত্মগোপনে। ফলে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাসহ সিনিয়র নেতারা না থাকায় নেতৃত্বে দেখা দিয়েছে শূন্যতা। এই মুহুর্তে দলটির হাল ধরার মতো কেউ নেই। সঙ্গত কারণে রাজধানীর গুলশানে সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিনটি দেশের কূটনৈতিকদের গোপন বৈঠক নতুন করে দলটির রিফাইন্ড নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের হাল ধরতে পারেন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরিণ শারমিন চৌধুরী।


জানা গেছে, গত সোমবার রাজধানীর গুলশানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নিজ বাসভবনে অতি গোপনীয়ভাবে তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূত বৈঠক করেছেন। এই বৈঠক দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে। এতে অংশ নেন তিনজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত। তারা হলেন-ঢাকায় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্রানসেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মলার।


আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে কূটনীতিকরা জানতে চান সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে।

ওই বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে কূটনীতিকরা জানতে চান সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে। এ ছাড়া কীভাবে দলটির কার্যক্রম ফের শুরু করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়। নর্ডিক রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকরা বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সদস্যদের যদি বর্তমান সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয় তাহলে বিদেশি কূটনীতিকদের তাতে তেমন কোনো আপত্তি নেই বলেও ওই বৈঠকে জানান। বরং তাতে নির্বাচনের মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পুরোপুরি বজায় থাকবে বলেই মনে করেন তারা।
সূত্র জানায়, এই তিন রাষ্ট্রদূত ফ্ল্যাগ ছাড়া অর্থাৎ কোনো কূটনৈতিক স্বাক্ষর ছাড়াই একই গাড়িতে চড়ে সাবের হোসেনের বাসভবনে যান। নজর এড়াতে তারা বৈঠক শেষে বাসভবনটি থেকে বেরিয়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করেন। যেহেতু আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থান বর্তমানে নাজুক, তাই বৈঠকের খবর গোপন রাখা ছাড়া উপায় ছিল না। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল, আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয়।
এদিকে, গত বছরের ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর ওই বছরের ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন সাবের হোসেন চৌধুরী। একটি হত্যা মামলাসহ ছয়টি মামলায়। যদিও পরবর্তী সময়ে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা দেশ ছেড়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে চলতি বছরের গত ১১ মে সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। কঠোর গোপনীয়তায় অনুষ্ঠিত পাঁচ মাস আগের ওই বৈঠকেও যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিয়ে সাবের হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগ দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে রাজনৈতিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারে কীভাবে তা নিয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে সে সময় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ওই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে কিছু জানাতে না চাইলেও দাবি করেন, তারা সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যান, যা তাদের দীর্ঘদিনের অনুসরণীয় কূটনৈতিক রীতির অংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো টালমাটাল। গত বছরের আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন, আর এর পর থেকেই তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তার নেতৃত্বে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব স্থান পেলেও নানামুখী রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশে। অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় দলটি তাদের প্রকাশ্য কার্যক্রমে আসতে পারছে না। এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যেই সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে তিন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের ঘটনায় রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তাকে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরিণ শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের এক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ হবে কি না তা জানি না। দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ সিনিয়র অনেক নেতারা দেশের বাইরে। যারা দেশে রয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার। আর যারা গ্রেফতার হননি তারা আত্মগোপনে। কিন্তু দলের কেউ কেউ সৎ ও ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ রয়েছেন, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের রোষানলে নেই। ফলে তাদের দিয়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার কথা ভাবছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে গত সোমবার সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিনটি দেশের কূটনৈতিকের বৈঠক হয়েছে, গণমাধ্যমে দেখলাম। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
আওয়ামী লীগের এক সভাপতি মন্ডলীল সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, আমাদের আশা-আকাঙ্খার ঠিকানা শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দলের নেতাকর্মীরা বেশিরভাগ আত্মগোপনে। দলের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তারপরেও আওয়ামী লীগের দায়িত্ব কাউকে না কাউকে নিতে হবে। সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী এবং  আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন চৌধুরী ও শিরিণ শারমিন চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, তা জানা নেই। আর সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিন দেশের কূটনৈতিকের বৈঠক হয়েছে, সেটি গণমাধ্যমে দেখলাম। এর বাইরে আর কিছু জানি না।
উল্লেখ্য, সাবের হোসেন চৌধুরী গত ২০২৪ সালে মন্ত্রিসভায় তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৯ সালে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে ২০১৪-২০১৭ সালে তিনি সর্বপ্রথম জেনেভা ভিত্তিক ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর ২৮ তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ হিসেবে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব পালন ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। এছাড়া ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে নবম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হন। ৪৬ বছর বয়সে তিনি সর্বকনিষ্ঠ স্পিকার হিসেবে সাবেক স্পিকার ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ এ তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি পুনরায় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সেইসাথে সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দেন। পরে ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *