ওপারের চট্টগ্রামের বাসিন্দা সন্তু লামার মাধ্যমেই টি ইউ এল এফের ডেরায় অস্ত্র ও গোলা বারুদ পৌঁছে দিয়েছে ভারত বিরোধী এজেন্টরা।
চট্টগ্রামে টিইউএলএফের ক্যাম্প (ছবি – সংগৃহীত)
নতুন জঙ্গি দল ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে জিটেন রিয়াংকে। এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রু হাম রিয়াংকে। ইতিমধ্যে ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট তাদের দলে নতুন সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নিয়োগ হওয়া ক্যাডারদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাংলাদেশে।ক্যাম্পে চলছে তাদের প্রশিক্ষণ।
ডেস্ক রিপোর্টার ,১৭ ফেব্রুয়ারি।। রাজ্যে ফের রক্ত পিপাসু জঙ্গিরা মাথাচারা দিতে পারে। বারবার হুমকির সুরে এই আশঙ্কার কথা বলছেন জনজাতিভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের এই আশঙ্কার কথা ধীরে ধীরে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হচ্ছে।গোয়েন্দার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাজে হিলে জন্ম নিয়েছে নতুন জঙ্গিদল ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা টিইউএলএফ। মূলত পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই , বাংলাদেশের ডিজিএফআই সহ ভারত বিরোধী সমস্ত শক্তির পৃষ্ঠ পোশকতায় ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট ও আন্তর্জাতিক ভারত বিরোধী শক্তির মধ্যে লিয়াসনের কাজ করছে সন্তু লামা।তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। এবং ডিজিএফআই’ র ঘনিষ্ঠ। তাদের উদ্দেশ্য ত্রিপুরা সহ উত্তর – পূর্বাঞ্চলে ফের অস্থিরতা সৃষ্টি করে রাখা।
ভারতীয় গোয়েন্দার দাবি, ওপারের চট্টগ্রামের বাসিন্দা সন্তু লামার মাধ্যমেই ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্টের ডেরায় ইতিমধ্যে অস্ত্র ও গোলা বারুদ পৌঁছে দিয়েছে ভারত বিরোধী শক্তির এজেন্টরা। সঙ্গে টাকাও।নতুন জঙ্গি দল ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে জিটেন রিয়াংকে। এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রু হাম রিয়াংকে। ইতিমধ্যে ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট তাদের দলে নতুন সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নিয়োগ হওয়া ক্যাডারদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাংলাদেশে।ক্যাম্পে চলছে তাদের প্রশিক্ষণ।
ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ র সদর দপ্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬ নম্বর সাজেক ইউনিয়নের আবালাংছড়াতে।
গোয়েন্দার রিপোর্ট অনুযায়ী, ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ র সদর দপ্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬ নম্বর সাজেক ইউনিয়নের আবালাংছড়াতে। সদর দপ্তরে ৩০ জনের মতো প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ক্যাডার রয়েছে। তাছাড়া মংপ্রুছড়া আর বেটলিং জৌপুইপাড়াতে আরো দুইটি ক্যাম্প রয়েছে। উভয় ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন কমান্ডার থায়ুং রিয়াং।
“রাজ্যে ফের জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে”: মুখ্যমন্ত্রী।
নিঃসন্দেহে গোয়েন্দার এই সংক্রান্ত তথ্যে মাথা ঘুরছে রাজ্য প্রশাসনের। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেছিলেন, রাজ্যে ফের জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,এই সংক্রান্ত সমস্ত খবর রয়েছে সরকারের কাছেও। কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন কি পারবে সীমান্তের ওপারে গজিয়ে উঠা নতুন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে অঙ্কুরেই বিনাশ করতে? এই মুহূর্তে অবশ্যই বিষয়টা কঠিন। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের ভারত শত্রুর মতোই। পুরো ঘটনার পেছনে মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের।