সুমন দেবরায় তার সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, “আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক রমাকান্ত দে’র ছোট ভাই তাকে চোর বলে আখ্যায়িত করেছে। সুমন নাকি তাদের যৌথ বাণিজ্যিক সংস্থা “ইমেজ সলিউশন” থেকে ২৮ হাজার ৫শ টাকা চুরি করেছেন।”
ফের কলঙ্কিত আগরতলা প্রেস ক্লাব। আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক রমাকান্ত দে’ র বিরুদ্ধে উঠলো খুনের অভিযোগ। রমাকান্ত খুন করেছেন চিত্র সাংবাদিক রাকেশ দেবনাথকে!এই অভিযোগ তুলেছেন সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক সুমন দেবরায়। সুমন দেবরায় ক্লাব সম্পাদক রমাকান্তের ব্যবসায়িক পার্টনার। সুমন দেবরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত পোস্ট করেছেন। রমাকান্ত কি সত্যিই রাকেশ দেবনাথকে খুন করেছেন?এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করে নি “জনতার মশাল”।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা সুমন দেবরায়ের পোস্টের ভিত্তিতেই “জনতার মশাল ” এই খবর প্রকাশ করেছে।তবে খুব শীঘ্রই ঘটনার নেপথ্যে থাকা রহস্য উন্মোচন করবে “জনতার মশাল “।
রাতে বাড়িতে যাওয়ার পর খাওয়া শেষ করতেই রকেশ অনবরত বমি করতে থাকেন।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই রাতে মৃত্যু হয়েছিলো চিত্র সাংবাদিক রাকেশ দেবনাথের। রাতে বাড়িতে যাওয়ার পর খাওয়া শেষ করতেই রকেশ অনবরত বমি করতে থাকেন।এরপর সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের লোকজন তাকে জিবি হাসপতালে নিয়ে যায়। জিবিতে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে রাকেশ চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে।
।।বিজ্ঞাপন।।
রাকেশের পরিবার সূত্রের প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ঘটনার রাতে রাকেশ মদ্যপান করেই বাড়িতে এসেছিলেন।কাদের সঙ্গে রাকেশ ককটেল পার্টিতে বসেছিলেন? এটা ওপেন সিক্রেট।তাহলে প্রশ্ন উঠছে, লাল তরলের সঙ্গে কি কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাকেশকে? যদি দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে কে বা কারা দিয়েছেন? পরিকল্পিত ভাবে রাকেশ দেবনাথকে হত্যার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে?
পেশাগত রেষারেষির কারণে রাকেশকে কেউ খুন করবে না। এটা সংবাদ মহলের লোকজনের কাছে স্পষ্ট। গুঞ্জন, এক “নারী”কে নিয়ে যন্ত্রণায় ছিলেন রাকেশ।এই নারীর কার্যকলাপ সহ্য করতে পারতেন না চিত্র সাংবাদিক রাকেশ।অনেকেই মনে করেন রাকেশের মৃত্যুর পেছনে এই নারীর চালচলন অনেকাংশেই দায়ী। তা নিয়ে নাকি অনেক ঝামেলাও হয়েছে।
।ফেসবুকে সুমন দেবরায়ের পোস্ট।
সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক সুমন দেবরায় তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলছেন, ” রাকেশ দেবনাথ চিত্র সাংবাদিককে রমাকান্ত মেরেছে প্রমাণ আছে।” তৎকালীন সময়ে রাকেশ দেবনাথের প্রায় সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন চিত্র সাংবাদিক তথা প্রেস ক্লাবের বর্তমান সম্পাদক রমাকান্ত দে, সুমন দেবরায়, পার্থজিৎ দত্ত সহ আরো কয়েকজন।
।।বিজ্ঞাপন।।
সুমন দেবরায় হঠাৎ করে কেন কবর থেকে রাকেশ দেবনাথকে তুলে আনলেন?
সুমন দেবরায় হঠাৎ করে কেন কবর থেকে রাকেশ দেবনাথকে তুলে আনলেন? এতো দিন সুমন দেবরায় কেন রাকেশের মৃত্যুর ‘গোপন রহস্য ‘ উন্মোচন করেন নি? সুমন দেবরায় তার সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, “আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক রমাকান্ত দে’র ছোট ভাই তাকে চোর বলে আখ্যায়িত করেছে। সুমন নাকি তাদের যৌথ বাণিজ্যিক সংস্থা “ইমেজ সলিউশন” থেকে ২৮ হাজার ৫শ টাকা হাফিজ করেছেন।”
।।সুমন দেবরায়ের ফেসবুক পোস্ট।।
প্রচণ্ড ক্ষোভেই কি সুমন দেবরায়ের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো এতো বছর বুকে চাপা দিয়ে রাখা রাকেশের মৃত্যুর অসহ্য যন্ত্রণার গোপন উপাখ্যান?
রমাকান্তের ভাইয়ের দেওয়া “চোর” তকমা মেনে নিতে পারেননি সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক সুমন দেবরায়! তার ক্ষোভেই কি সুমন দেবরায়ের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো এতো বছর বুকে চাপা দিয়ে রাখা রাকেশের অসহ্য যন্ত্রণার গোপন উপাখ্যান? এই কোটি টাকার প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যের সংবাদ জগতে। তবে রহস্য জনক ভাবে সুমন দেবরায় ফেসবুকে করা পোস্টটি তুলে নিয়েছেন। আজ (১৮ এপ্রিল) সুমন দেবরায়ের ফেসবুকে সন্ধান করেও এই সংক্রান্ত পোস্টটি পাওয়া যায় নি। এটা কি আগরতলা প্রেস ক্লাবের ক্ষমতাশালী সম্পাদক রমাকান্ত দে’র ভয়ের কারণ? নাকি ফের দুইজনের সমঝোতা?
।সুমন দেবরায়ের ফেসবুক পেজে বেহদিশ রাকেশ দেবনাথের মৃত্যু সংক্রান্ত পোস্ট।
মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত রাকেশ দেবনাথ চিত্র সাংবাদিক হিসাবে জড়িত ছিলেন ” জনতার মশাল”- র ( তৎকালীন সময়ের ম্যাগাজিন) সঙ্গে।
যাই হোক, রমাকান্ত দে ও সুমন দেবরায়ের বাণিজ্যিক ঝামেলা নিয়ে “জনতার মশাল”- র কোনো মাথা ব্যথা নেই। এটা সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব বিষয়। যেহেতু এতো বছর পর প্রয়াত চিত্র সাংবাদিক রাকেশ দেবনাথের মৃত্যুর গোপন উপাখ্যানটি সুমন তুলে ধরেছেন, তাই এটা নিয়ে মাথা ঘামাতে বাধ্য হয়েছে জনতার মশাল।কারণ মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত রাকেশ দেবনাথ চিত্র সাংবাদিক হিসাবে জড়িত ছিলেন ” জনতার মশাল”- র ( তৎকালীন সময়ের ম্যাগাজিন) সঙ্গে। তার জন্যই রাকেশের মৃত্যুর গোপন তথ্য সামনে আসতেই রহস্য উন্মোচনের দায় বর্তায় জনতার মশাল কর্তৃপক্ষের উপরও।