“অসম এবং মেঘালয়ের একটা বড় অংশ, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড মিলে একটি নতুন দেশ হবে। সেই এই নতুন দেশের নাম হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প’র নাম অনুযায়ী ‘ট্রাম্পল্যান্ড’।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮ ডিসেম্বর।।
            ডোনাল্ড ট্রাম্প’ র আমেরিকাতে বসে ভারতের উওর পূর্বাঞ্চলকে টুকরো করে নতুন খ্রিস্টান দেশ গড়ার ছক ফাঁস করলো খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। সম্প্রতি পানন্নু একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। তাতে দেখা গিয়েছে, অসম এবং মেঘালয়ের একটা বড় অংশ, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড মিলে একটি নতুন দেশ হবে।

খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুন

সেই এই নতুন দেশের নাম হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প’র নাম অনুযায়ী ‘ট্রাম্পল্যান্ড’।পান্নুর তৈরী করা সেই মানচিত্র,যেখানে জ্বলজ্বল করছে ত্রিপুরার নামও।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সেই দেশের কট্টরপন্থীরা বারবার উত্তর – পূর্বাঞ্চলকে দখল করার হুমকি দিয়েছে।

পান্নুন তৈরি করা ‘ ট্রাম্পল্যান্ড ‘ র মধ্যে নেই অরুণাচলপ্রদেশ। অরুলাচলকে এই ম্যাপে চিনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সেই দেশের কট্টরপন্থীরা বারবার উত্তর – পূর্বাঞ্চলকে দখল করার হুমকি দিয়েছে। ঘুরপথে একই কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মো: ইউনূস। সর্বশেষে বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের বাংলাদেশের কর্তার পন্থীরা ভারতের সেভেন সিস্টার্স দখলের ডাক দেয়। হুমকি দেয় চিকেন নেক কেটে দেওয়ার।


এই মানব করিডোরের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে ভারত বিরোধী শক্তি।

মো: ইউনূস ক্ষমতায় বসে চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক করিডোর তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এই মানব করিডোরের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে ভারত বিরোধী শক্তি।
    শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় দাবী করেছিলেন, “আমেরিকা সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে ঘাঁটি গড়তে চায়। এরই সঙ্গে ভারতের উত্তরপূর্বের খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ মিলিয়ে একটি খ্রিস্টান দেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছে আমেরিকা।”


গত কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আস্তানা গেঁড়েছিল

মার্কিন সেনা।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে কয়েকবার এই সংক্রান্ত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজী হন নি। আর তাতেই আমেরিকা ক্ষেপে গিয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে সিআইএ’কে লেলিয়ে দিয়ে গোটা বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী মহল তৈরি করে। এবং করে ক্ষমতাচুত্য। বর্তমানে মহম্মদ ইউনুসের মানবিক করিডোর সেই ছকেরই অংশ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা।


গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।

গত কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আস্তানা গেঁড়েছিল মার্কিন সেনা। প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে নাকি কক্সবাজারে বৈঠক করেছিল পদ্মা পাড়ের ভারত বিরোধী এনসিপি নেতারা।এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে মার্কিন সেনা সহ ভারত বিরোধী শক্তির তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়াতে মাথাব্যথা বাড়ছে নয়া দিল্লির। গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *