#Tripura #Police #SP #Communication#Janatar #Mashal

রাজ্য পুলিশের  কমিউনিকেশন শাখার অন্তরালে থাকা ক্যানভাসে উঁকি দিচ্ছে নানান সন্ধিগ্ন প্রশ্ন!




।।প্রতিকী ছবি।।

বেতার বিভাগের কর্মীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট অফিসাররা রাজ্যের একটি জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের “প্রজেক্ট”।  এই রাজনৈতিক দলটির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে রাজ্যের অতীতের রক্ত পিপাসু জঙ্গিদের।যাদের পোশাকী নাম ” আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি”।
   

ডেস্ক রিপোর্টার, ২২ ফেব্রুয়ারি।।
                 রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার “প্রাণ ভোমরা” পুলিশের “কমিউনিকেশন” বা “বেতার বিভাগ।” বেতার বিভাগের বর্তমান এসপি কল্লোল রায়। এসপি সাহেবের বেলেল্লাপনায় বেতার বিভাগের সংসারে জ্বলছে ধাও ধাও আগুন!বেতার বিভাগের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে নাকি সংবেদনশীল করে তুলছেন খোদ এসপি কল্লোল রায়। অভিযোগ বেতার বিভাগের কর্মীদের।
                 বেতার বিভাগের পুলিশ আধিকারিকদের কথায়, এসপি কল্লোল রায় আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছেন! বেতার বিভাগের ডিএসপি কমিউনিকেশন, ইন্সপেক্টর কমিউনিকেশন ও রিজার্ভ অফিসার এই তিনটি পদেই জনজাতি অংশের আধিকারিকদের বসিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, এই তিনটি পোস্টের জন্য অনুপজাতি অংশের সিনিয়র অফিসার রয়েছেন। তা সত্ত্বেও এসপি কল্লোর রায় অনুপজাতি অংশের অফিসারদের পেছনে ঠেলে দিয়ে সামনে নিয়ে আসেন জনজাতি অংশের জুনিয়র অফিসারদের।

পুলিশের বেতার বিভাগের অফিস (ছবি – নিজস্ব)

বেতার বিভাগের কর্মীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট অফিসাররা রাজ্যের একটি জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের “প্রজেক্ট”।  এই রাজনৈতিক দলটির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে রাজ্যের অতীতের রক্ত পিপাসু জঙ্গিদের।যাদের পোশাকী নাম ” আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি”।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-the-use-of-wireless-operators-in-the-law-and-order-of-the-sp-of-the-wireless-department-of-the-police-tripura-news

পুলিশের বেতার বিভাগের দাপ্তরিক পরিকাঠামো ( আধিকারিকদের স্তর) অনুযায়ী এসপি সর্বময় কর্তা।এরপর হেভিওয়েট পোস্ট ডিএসপি কমিউনিকেশন।বর্তমানে এই পদের আছেন টিপিএস মন্তোষ দেববর্মা। তারপরেই আছে ইন্সপেক্টর কমিউনিকেশন। এই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজেশ দেববর্মা। বিভাগের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ন পদ রিজার্ভ অফিসার (আরও)। যাকে বলা হয়, বেতার বিভাগের “সুপারভাইজার অপারেটর”।


কার অঙ্গুলি হেলনে এসপি কল্লোল রায় এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?

অভিযোগ, এই পোস্টে সাব – ইন্সপেক্টর জগৎ জীবন ত্রিপুরাকে বসানোর জন্য অতিরিক্ত খাটাখাটনি করছেন এসপি কল্লোল রায়।অথচ জগৎ জীবন ত্রিপুরার সিনিয়র অফিসারদের ব্রাত করে রাখছেন খোদ এসপি কল্লোল রায়। কার অঙ্গুলি হেলনে এসপি কল্লোল রায় এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?এসপি কল্লোল রায়ের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কি সুপ্ত আছে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র?প্রশ্ন তুলছেন খোদ বেতার বিভাগের কর্মরত কর্মীরাই।

।পুলিশের বেতার বিভাগের মূল ফটক।(ছবি – নিজস্ব)


            

এসপি কল্লোল রায় বাম জামানার টিএসআরের একশ নম্বরী অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট।

বেতার বিভাগের সিনিয়র অফিসারদের কথায়, এসপি কল্লোল রায় বাম জামানার টিএসআরের একশ নম্বরী অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট। সেকালে যারা বামেদের ঘরের সন্তান, তারাই টিএসআরের একশ নম্বরী অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট’র চাকরি বাগিয়ে নিয়েছিল। পুলিশ মহলে কল্লোল বরাবর একজন বাম ক্যাডার হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু হালে তিনি রাম বাড়ির সঙ্গে হট লাইন তৈরি করেছেন।

।প্রতিকী ছবি।

বেতার বিভাগের কর্মীদের সন্দেহ, অনুপজাতি অংশের সিনিয়র অফিসারদের টপকে জনজাতি অংশের জুনিয়র অফিসারদের গুরুত্বপূর্ন পদ গুলিতে বসিয়ে দিয়ে বেতার বিভাগের সংসারে আগুন লাগানোর প্রয়াস করছেন এসপি কল্লোল রায়! কারণ রাজনৈতিক ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সরকারকে  বদনাম করতেই  কি এসপি কল্লোল রায়ের এই ব্লু প্রিন্ট?
অন্তরালে থাকা ক্যানভাসে উঁকি দিচ্ছে নানান  সন্ধিগ্ন প্রশ্ন!


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *