ডেস্ক রিপোর্টার,১৭ জুলাই।।
আগামী বছরের এডিসি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির জনজাতি মোর্চার উদোগে চিন্তন বৈঠক করলো প্রদেশ নেতৃত্ব।বৃহস্পতিবার চিন্তন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শহরের গীতাঞ্জলি অতিথি শালায়। এই বৈঠকে ছিলেন মূখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, দুই সহ – সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য্য, পাপিয়া দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ অধিকাংশ প্রদেশ নেতৃত্ব।ছিলেন এডিসির বিজেপির সমস্ত এমডিসিরা। দলের জনজাতি মন্ত্রী – বিধায়করাও ছিলেন বৈঠকে।
চিন্তন বৈঠক কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,” আগামী দিনে জনজাতি মোর্চার সংগঠনকে কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায়? মূলত তা নিয়েই আলোচনা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার জনজাতিদের জন্য নানান সুযোগ – সুবিধা দিয়েছে। এই গুলির সঠিক বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ২০১৮- র নির্বাচনে ভিসন ডকুমেন্ট দিয়েছিল বিজেপি। এই ভিসন ডকুমেন্টের কাজ কতটা সম্পন্ন হয়েছে? বাদবাকি অসম্পূর্ণ কাজ গুলিকে কিভাবে সম্পন্ন করা হবে। তা নিয়েই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আগামী বছর এডিসি নির্বাচন। এই নির্বাচনের প্রাথমিক রোড ম্যাপ কি হবে তা নিয়েও এই চিন্তন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ভাজপার প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ” বিজেপি ভোটের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। নির্বাচনে কি ভূমিকা হবে দলের তাও আগেই আলোচনা করা হয়।”
রাজনীতিকদের বক্তব্য, এডিসি নির্বাচনের আগে পাহাড়ে বিজেপির শক্তির গভীরতা কতটা আছে, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে করা হয়েছে চিন্তন বৈঠক। এই বৈঠকে পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জনজাতি নেতাদের মুখ থেকে শুনেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ আসন্ন এডিসি নির্বাচনে শাসক জোটের তিন শরিক বিজেপি, তিপ্রামথা ও আইপিএফটি পৃথক ভাবে লড়াই করবে। প্রতিটি দল তাদের শক্তির মহড়া দেবে।ইতিমধ্যে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা মাঠে নেমে গিয়েছে। অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে রাজনীতির মাঠের উষ্ণতা বাড়িয়ে তুলছে। বৃহস্পতিবার গা ঝাড়া দিয়েছে আইপিএফটি। এডিসি নির্বাচনকে সামনে রেখে পৃথক রাজ্যের বস্তাপচা স্লোগান নিয়ে সরব হবে তারা। এই ঘোষনা দিয়েছেন আইপিএফটির মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া।