খজেন্দ্র নামের সেই ব্যক্তি বলেন, ” আপনাকে গণ্ডাছড়া থেকে কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে তথ্য দিচ্ছে। নামটা বলবেন! না বললে আমি খুঁজে বের করে নেবো। খজেন্দ্র বলেন, ” আমি জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করেছি। তাতে কি হবে? তবে আমি এই পোস্ট মুছেও দিয়েছি, আপনার খবর সম্প্রচারের পর”।
ডেস্ক রিপোর্টার,৩০ অগাষ্ট।।
JM 24News ও জনতার মশাল – ওয়েব পোর্টালের ধারাবাহিক খবরের জেরে শেষ পর্যন্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জাতি বিদ্বেষী পোষ্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছে বিজেপির রাইমাভ্যালী মন্ডলের জনজাতি মোর্চার সভাপতি খজেন্দ্র রিয়াং। তবে বিজেপির এই চিনেপুটি নেতা খজেন্দ্র রিয়াং ডাইনি খোঁজার কাজ শুরু করেছে। JM 24 News ও জনতার মশালকে গণ্ডাছড়া থেকে কে বা কারা তার অপকর্মের খবর দিয়েছে? এই সংক্রান্ত লোকজনের সন্ধান করছে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়া খজেন্দ্র। অর্থাৎ স্পষ্ট যে বা যারা JM 24News – র সংবাদ ভবনে খজেন্দ্র রিয়াং- র বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছে, তাদেরকে সনাক্ত করতে পারলেই তার কেল্লা ফতে। চালাবে হামলা, হুজ্জুতি।প্রয়োজনে খুন করলেও আবার হওয়ার কিছু থাকবে না ।

কেন আমরা একথা বলছি? তাও খোলসা করবো এই প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খজেন্দ্র রিয়াংয়ের জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য ও তার দুর্নীতি নিয়ে পর পর দুইটি পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছিল JM 24News ও জনতার মশাল- এ। এই সংক্রান্ত খবর সম্প্রচারের পর তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে খজেন্দ্র রিয়াং ও তার রাজনৈতিক গডফাদার এডিসির এমডিসি ভূমিকা নন্দন রিয়াং। খবর সম্প্রচারের পর গত ২৬ আগস্ট ভূমিকা নন্দন রিয়াং JM 24News – র এডিটরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। তাও আবার কনফারেন্সের মাধ্যমে।এক জুনিয়র সাংবাদিক এক্ষেত্রে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেন। আমাদের ভিতরে কোনো দুরভিসন্ধি ছিল না। তাই আমরা এমডিসি ভূমিকা নন্দন রিয়াংয়ের কথোপকথন রেকর্ড করি নি।

এমডিসি ভূমিকা নন্দন রিয়াং আমাদের এডিটরকে ফোনে বলেন, ” স্যার খজেন্দ্র ভুল করেছে। তার কি ক্ষমা নেই? আপনি ওকে ক্ষমা করে দিন। আর খবর করবেন না প্লিজ।”
আমরা এমডিসি ভূমিকা নন্দন রিয়াংয়ের মতো খজেন্দ্র রিয়াংয়ের কথোপকথন রেকর্ডও করি নি।
গত ২৭ অগাষ্ট রাত ৮টা ৩৬ মিনিটে আমাদের এডিটরের মোবাইলে ৮৯৭৪৮২৫২১৫ নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। এই সময় এডিটর ফোন রিসিভ করেন নি ব্যস্ততার জন্য। পরে তিনি ৮টা ৩৯ মিনিটে পাল্টা ফোন করেন ৮৯৭৪৮২৫২১৫ নম্বরে। মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি তখন নিজেকে খজেন্দ্র রিয়াং বলে পরিচয় দেন। খজেন্দ্র নামের সেই ব্যক্তি বলেন, ” আপনাকে গণ্ডাছড়া থেকে কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে তথ্য দিচ্ছে। নামটা বলবেন! না বললে আমি খুঁজে বের করে নেবো। খজেন্দ্র বলেন, ” আমি জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করেছি। তাতে কি হবে? তবে আমি এই পোস্ট মুছেও দিয়েছি, আপনার খবর সম্প্রচারের পর”। আমাকে কেউ কিছুই করতে পারবে না।এক্ষেত্রেও আমরা এমডিসি ভূমিকা নন্দন রিয়াংয়ের মতো খজেন্দ্র রিয়াংয়ের কথোপকথন রেকর্ডও করি নি।

খজেন্দ্র রিয়াং রিয়াং তার কথাবার্তার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করে যেন মহান কাজ করেছেন। এখন তার প্রয়োজন আমাদের সোর্সকে সনাক্ত করা। সনাক্ত পর্ব শেষ হলে সে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে সংবাদ দাতাদের উপর।
এবার ভাবুন, কোথায় আছে রাজ্য?
জাতীয় দলে জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করেও চোরের মায়ের বড় গলা দিচ্ছে চিনেপুটি বিজেপি নেতা খজেন্দ্র। কোনো এক রহস্য জনক কারণে বিজেপির ধলাই জেলা সহ রাজ্য নেতৃত্ব খজেন্দ্র’র বিষয় নিয়ে এখনো মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন? তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। তাহলে কি এটাই বলতে হয়, প্রদেশ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব খজেন্দ্রর মতো নেতার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে সাতবার চিন্তা করতে হচ্ছে। হাস্যকর! আরো বড় বিষয়, ২৮ – র বিধানসভা নির্বাচনেও রাইমাভ্যালী কেন্দ্র দখল নিতে পারবে না গেরুয়া শিবির। বলছেন স্থানীয়রা। তারপরও জনজাতি নেতা খজেন্দ্রকে এতো তোয়াজ কেন? এই প্রশ্নের কি উত্তর দিতে পারবেন কি প্রদেশ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডে কর্তারা? নাকি বাঙালি ভোটের প্রয়োজন নেই বিজেপির।