ডেস্ক রিপোর্টার ,২৬ নভেম্বর ।।
অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্য বোধজং নগর থানা। অভিযোগ এই থানার পুলিশ আধিকারিকদের মদতেই চলছে সমস্ত অপরাধ মূলক কাজকর্ম। স্বাভাবিক ভাবেই অপরাধের মৃগয়া ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাণিজ্য বণিক্য চৌমুহনী, লাড্ডু চৌমুহনি, আমতলী,পশ্চিম নোয়াবাদী সহ আশপাশ এলাকা। কিন্তু বোধজং নগর থানার থানাদার প্রশান্ত দে আছেন বহাল তবিয়তে। গত বছর চিনি পাচারকারীদের জড়িত থাকার অভিযোগে প্রশান্ত দে’ কে গণধোলাই দেওয়ার জন্য তার কোয়ার্টারে চড়াও হয়েছিল উত্তেজিত জনতা। ঘটনা কলমচৌড়া থানায়।
এই দুর্নীতিবাজ অফিসার এখন বোধজংনগর থানার ওসির চেয়ার আলো করে বসে আছেন। এবং গোটা এলাকাকে বানাচ্ছেন “ক্রাইম হাব”। তার প্রতিফলন দেখা গেলো গত ২৩ নভেম্বর।
এদিন রাতে পশ্চিম নোয়াবাদী এলাকার এক বাড়ির সামনে দাড়ানো ছিলো TR01BK0451 নম্বরের একটি গাড়ি। এমন সময় এই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন স্থানীয় ভিগোরাস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক অমিত সরকার। গাড়িটি দেখে তার সন্দেহ হয়। এবং গাড়ি দাঁড়ানোর কারণ জানতে চান। তখন বাড়ির ভিতর থেকে লোকজন বেরিয়ে আসে অমিতকে মারধর করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে বোধজং নগর থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই রহস্য জনক ভাবে গাড়িটি ছেড়ে দেয়। এই বিষয়ে অমিত সরকার মামলা দায়ের করেছেন। তারপরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। মঙ্গলবার এই বিষয় নিয়ে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নালিশ জানাতে এসে একথা জানিয়েছেন অসীম সরকার।
অসীম জানিয়েছে, কিভাবে পুলিশের মদতে গোটা এলাকায় চলছে অপরাধ মূলক কাজকর্ম।
ডেপুটেশনকারী লোকজনের বক্তব্য, বর্তমান পুলিশ সুপার তাদের আশ্বাস দিয়েছেন গোটা বিষয়টির একটা বিহিত করবেন তিনি।

