#Tripura #Politics #Bjp #President #Election #Janatar#Mashal

বর্তমানে যাকে সভাপতি নির্বাচন করা হবে, তাকে সামনে রেখেই ২৮- র মহারণের রণ কৌশল সাজাবে ভাজপা।

সভাপতির মিউজিক্যাল চেয়ার( প্রতীকী ছবি)


এবার সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নেতাদের সাংগঠনিক দক্ষতার পাশাপাশি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেওয়া হবে।কারণ একজন প্রদেশ সভাপতির নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ভাষাগত দিক দিয়ে সাবলীল না হলে কাজের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা তৈরি হয়। এটা নাকি বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮ জানুয়ারি।।
                         আর মাত্র কয়েকটা দিন,অবসান হবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার।চলতি মাসেই ঘোষনা হবে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির নতুন প্রদেশ সভাপতির নাম। তা নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে ভাজপা শিবিরে। কিন্তু কে হবেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি?বর্তমান প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য’ র উপরেই কি আবার আস্থা রাখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? নাকি, সভাপতির চেয়ারে বসাবেন নতুন মুখ? নতুন মুখ হলে, সেই তালিকায় কোন কোন নেতা আছেন?  নতুন সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে চুলচেরা  বিশ্লেষণ চলছে ভাজপা শিবিরে।
                প্রদেশ ভাজপার অলিন্দের খবর অনুযায়ী, প্রদেশ সভাপতির দৌঁড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা – নেত্রী। কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের সর্বশেষ স্ক্রিনিং করা তালিকায় রয়েছে বর্তমান সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, ভাজপার সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, দুই সাধারণ সম্পাদক ভগবান দাস ও অমিত রক্ষিত। মূলত এই ছয় নেতা – নেত্রীর মধ্যেই একজনকে বসানো হবে প্রদেশ সভাপতির চেয়ারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার ললাটে লাগবে সভাপতির তিলক? এটা এখনো স্পস্ট নয়।

।সভাপতির দৌঁড়ে থাকা সম্ভাব্য নেতৃত্ব।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-chief-ministers-speech-to-be-ashamed-of-the-former-governor/

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি রাজীব ভট্টাচার্যকে পুনরায় সভাপতি হিসাবে নির্বাচন করেন তাহলে, অন্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কোনো প্রশ্নই আসবে না। রাজীব ভট্টাচার্য বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। তাই রাজীবকে পরিবর্তনের  সম্ভাবনা প্রবল।কারণ বর্তমানে যাকে সভাপতি নির্বাচন করা হবে, তাকে সামনে রেখেই ২৮- র মহারণের রণ কৌশল সাজাবে ভাজপা। তাই সভাপতি নির্বাচন হবে সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করেই।
        বিজেপির দিল্লির খবর অনুযায়ী, এবার সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নেতাদের সাংগঠনিক দক্ষতার পাশাপাশি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেওয়া হবে।কারণ একজন প্রদেশ সভাপতির নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ভাষাগত দিক দিয়ে সাবলীল না হলে কাজের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা তৈরি হয়। এটা নাকি বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকা সত্ত্বেও রাজনীতির
২২- গজে বহু নেতা আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

তবে এটাও বাস্তব, রাজ্য ও ভারতীয় রাজনীতিতে এমন অনেক রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম।কিন্তু রাজনীতির ২২- গজে তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সভাপতির নাম চূড়ান্ত করার আগে দিল্লি নেতৃত্ব নিশ্চিত ভাবেই এই সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় বিষয় গুলিকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।


।।রবীন্দ্র রাজু’র নেতৃত্বে প্রদেশ বিজেপির বৈঠক।।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছেন ত্রিপুরা প্রদেশের সংগঠন মন্ত্রী রবীন্দ্র রাজু।সোমবার তিনি রাজ্যে এসে প্রদেশ বিজেপির সদর কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ প্রদেশ কমিটির সব নেতৃত্ব।এবং বিজেপির সাতটি মোর্চা, জেলা কমিটি,  আইটি সেল ও মিডিয়া ইনচার্জরা। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে আসছেন প্রভারী রাজদীপ রায়। সব মিলিয়ে বিজেপির ঘরোয়া আবহে এখন নতুন সভাপতি নির্বাচন নিয়ে মুখিয়ে আছেন নেতৃত্ব।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *