#Tripura #Bishalgarh #M@ur*der #P*olice# Janatar# Mashal
পুলিশ মূল অভিযুক্ত অজান্ত দাস ওরফে অচিন্ত্যকে গ্রেফতার করেছে। অপর দুই অভিযুক্ত অজান্ত দাসের বাবা বিষ্ণু দাস ও মা পলাতক।

বিষ্ণু দাস ও বিপুল দাস দুই ভাই। দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে চলছে ঝামেলা। এর জের ধরেই শনিবার সকালে দুই ভাই ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এক সময় বিষ্ণু দাস ও তার ছেলে অজান্ত দাস উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাতে ঘি ঢালেন বিষ্ণুর স্ত্রীও। তারা সম্মিলিত ভাবে দা সহ নানান ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে বিপুল দাস, তার স্ত্রী ও দুই ছেলে শ্যামল – প্রীতম উপর।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১লা ফেব্রুয়ারি।।
দুই ছেলের সামনেই খুন মা – বাবা।দুই ছেলেও আশঙ্কা জনক অবস্থায়। ঘটনা বিশালগড় থানাধীন দীনদয়াল চৌমুহনি এলাকায়। নিহতরা হলেন বিপুল দাস ও তার স্ত্রী শিমু দাস। গুরুতর জখম তাদের দুই ছেলে শ্যামল দাস ও প্রীতম দাস। তাদের চিকিৎসা চলছে জিবি হাসপাতালে। ঘটনা শনিবার সকালে।পুলিশ মূল অভিযুক্ত অজান্ত দাস ওরফে অচিন্ত্যকে গ্রেফতার করেছে। অপর দুই অভিযুক্ত অজান্ত দাসের বাবা বিষ্ণু দাস ও মা পলাতক। ঘটনার নেপথ্যে পরিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত অজান্ত দাসের বাড়ি ঘরে হামলা করে। ভেঙ্গে দেয় তার স্বপ্নের গাড়িও। পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার, ডিআইজি রেঞ্জ মনচাক ইপ্পার সহ বিশালগড় থানার বিশাল পুলিশ।

স্থানীয়দের ঠেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিষ্ণু দাস ও বিপুল দাস দুই ভাই। দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে চলছে ঝামেলা। এর জের ধরেই শনিবার সকালে দুই ভাই ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এক সময় বিষ্ণু দাস ও তার ছেলে অজান্ত দাস উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাতে ঘি ঢালেন বিষ্ণুর স্ত্রীও। তারা সম্মিলিত ভাবে দা সহ নানান ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে বিপুল দাস, তার স্ত্রী ও দুই ছেলে শ্যামল – প্রীতম উপর। অজান্ত দাস দা দিয়ে কুপিয়ে একে একে তার কাকা, কাকিমা ও দুই খুড়তুতো ভাইকে রক্তাক্ত করে। ঘটনাস্থলেই তারা চারজনে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন অন্যান্য প্রতিবেশীরা। জরুরী তলবে ছুটে এসে পুলিশও। রক্তাক্ত অবস্থায় চারজনকে পুলিশ বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপুল দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়াতে শিমু দাস ও তার দুই ছেলে শ্যামল – প্রীতমকে জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। জিবিতে আনার পর চিকিৎসকরা শিমু দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানের তাদের দুই ছেলে শ্যামল – প্রীতম হাসপতালে পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে।