প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য ওপার থেকে উস্কানি আসতে পারে।
।।বিএসএফের নির্দেশনামা।।
সম্প্রতি ভারত – বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা। কখনো ওপারের বিজিপি,আবার কখনও সাধারণ নাগরিকরা সীমান্তে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে।সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বিজিবি বারবার আপত্তি করছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারত বিরোধী শক্তির চাইরা দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসকে টার্গেট করেছে।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ জানুয়ারি।। ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি ইন্দো – বাংলা সীমান্ত এখন স্পর্শ কাতর হয়ে উঠেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে সীমান্ত এলাকা গুলিতে ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। রিপোর্ট গোয়েন্দার।এই খবর নিশ্চিত হওয়ার পর সীমান্ত এলাকায় দফায় দফায় মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএফের স্পেশাল ডিজি (ইস্টার্ন কমান্ড)। সম্প্রতি ভারত – বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা। কখনো ওপারের বিজিপি,আবার কখনও সাধারণ নাগরিকরা সীমান্তে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে।সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বিজিবি বারবার আপত্তি করছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারত বিরোধী শক্তির চাইরা দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসকে টার্গেট করেছে। এই দিনে সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে নাশকতা মূলক কার্যকলাপের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে ভারত বিরোধী শক্তি। নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে সীমান্তে ছড়িয়ে দিতে পারে উত্তেজনা। গোয়েন্দার এই খবর দিল্লিতে পৌঁছতেই সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটোসাটো করার নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে ৮৫৬ কিলোমিটার।বিএসএফের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ” ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। এই নির্দেশনামাকে বিএসএফের পরিভাষায় নাম দেওয়া হয়েছে “অপস এলার্ট” (OPS ALERT )। এই অপস শুরু হয়েছে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে।
।সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি।(ছবি – এফ বি)
বিএসএফের নির্দেশনামা অনুযায়ী, সীমান্তে বিএসএফকে বারবার মহড়া চালাতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিদ্র করতে হবে। প্রয়োজনে রাতে বাড়তি জওয়ান মোতায়েন করে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। তথ্য বলছে, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য ওপার থেকে উস্কানি আসতে পারে। তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
বিএসএফের নির্দেশ, এই সংক্রান্ত বিষয়টি বোঝাতে হবে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদেরও। ইতিমধ্যে বিএসএফের শীর্ষ স্তরের এই নির্দেশ পেয়ে মাঠে নেমে গিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যে কর্মরত বিএসএফ আধিকারিক ও জওয়ানরা। মূলত কাটাতার বিহীন সীমান্ত গুলি দিয়েই ঝামেলা করার সুযোগ খুঁজছে ওপারের বিজিবি, সাধারণ নাগরিক সহ জঙ্গিরা। এই কারনেই আগামী কয়েকটা দিন বাংলাদেশের পাতা ফাঁদে যেনো কেউ পা না দেয় তার দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।