#Tripura #Agartala #Politics #Cpim #Janatar #Mashal



পাহাড়ে তিন রাজনৈতিক দলের প্রাচীর
কি ভেদ করতে পারবে কমিউনিস্টরা ?


২৪ তম রাজ্য সম্মেলনের পর মোট ৭১ জনের রাজ্য কমিটির নাম ঘোষণা করেছে মেলার মাঠ লাল বাড়ি। তাদের মধ্যে ৬১ জন আছেন মূল কমিটিতে।তাছাড়া দুইজন স্পেশাল ইনভাইটি সদস্য।এবং আট জন পার্মানেন্ট ইনভাইটি সদস্য।

ডেস্ক রিপোর্টার, ৩১ জানুয়ারি।।
      হাজারো প্রতিবন্ধকতা! তারপরও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিজেদের শক্তির মহড়া দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম। গত ২৯ জানুয়ারি আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে আছড়ে পড়া বাম জন ঢল দেখে অতি বড় বাম সমর্থকরা বলছেন ২৮- র বিধানসভা নির্বাচনে নতুন ইতিহাস লিখবে সিপিআইএম।
                        ২৪ তম প্রকাশ্য সমাবেশে নিঃসন্দেহে বামেদের লোকজনের বহর দেখে কম্পিত হবে শাসক জোট! তারপরও কি আগামীর বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা পৌঁছবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে? সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী শাসক জোটকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ” আজ থেকে বিজেপি – তিপ্রামথা – আইপিএফটির শেষের দিন গোনা শুরু হয়েছে। আগামীতে ত্রয়ী শক্তির অবসান নিশ্চিত।” ২৪ তম রাজ্য সম্মেলনের পর মোট ৭১ জনের রাজ্য কমিটির নাম ঘোষণা করেছে মেলার মাঠ লাল বাড়ি। তাদের মধ্যে ৬১ জন আছেন মূল কমিটিতে।তাছাড়া দুইজন স্পেশাল ইনভাইটি সদস্য।এবং আট জন পার্মানেন্ট ইনভাইটি সদস্য।


রাজনীতিকরা বলছেন, রাজ্যের শাসক জোটের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে মানুষ বামেদের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছে। গোপনে যোগাযোগ রাখছে বাম নেতৃত্বের সঙ্গে। পাহাড় – সমতল সর্বত্রই একেই অবস্থা। কিন্তু তারপরও আজকের দিনে পাহাড়ে বামেরা এখনো তাদের জমি পুরোপুরি ভাবে শক্ত করতে পারেনি। জনজাতি ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর এখনো পাহাড়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। প্রদ্যুতের শক্তি একক ভাবে বামেদের ভেদ করা কঠিন। আর এটা না করতে পারলে বামেদের সমাবেশে জন ঢল থাকলেও তা কিন্তু ধরে রাখতে পারবে না।


পাহাড় রাজনীতিতে প্রদ্যুতের কামড় যত গভীর হবে, এটা বিজেপির জন্য মঙ্গল। এবং বামেদের জন্য অত্যন্ত নিরাশা জনক। তিপ্রামথার সঙ্গে থাকবে শাসক জোটের আরো এক শরিক আইপিএফটি। এবং সর্বোপরি ভারতীয় জনতা পার্টি। পাহাড়ে তিন রাজনৈতিক দলের প্রাচীর ভেদ করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা বামেদের পক্ষে শুধু কঠিন নয়, অসম্ভবও বটে। সমতল অঞ্চলে ভোট ভাগাভাগির অঙ্ক আরও জটিল হয়ে উঠবে।
                          এই সমস্ত বিষয় গুলি পর্যবেক্ষণ করলে ২৮- র বিধানসভা নির্বাচনেও বামেদের পথ কণ্টক মুক্ত নয়। নিজেদের রাজনীতির মাঠে জনস্রোত থাকলেই যে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর শেষের দিন শুরু হয়ে যাবে এই তত্বও সর্ব ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত  নাও  হতে পারে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।তবে এটাও বাস্তব, রাজনীতির অভিধানে অসম্ভব বলে কিছুই নেই।


বাংলার রাজনীতির দিকে তাকালে দেখা যায় কলকাতার ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত বামেদের জনসভায় তিল ধরার জায়গা থাকে না। জন স্রোত দেখে বারবার বাংলার বাম নেতারা স্বপ্ন দেখেন সিংহাসনে বসার। কিন্তু টানা দেড় দশকের অধিক সময় ধরে বাংলার বাম নেতাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে।সাকার হওয়া তো দূরের কথা ঝুলি শূন্য হয়ে গিয়েছে।ট্রিপুরাতেও ব্যতিক্রম নয়।২০১৮- র বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা পেয়েছিল ১৮টি আসন। আর ২৩- র ভোটে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১১’ তে।শেষে উপ নির্বাচনেও আরো একটি আসন হারাতে হয় বামেদের। সর্ব সাকুল্যে প্রদ্যুত কিশোরের তিপ্রামথার দয়া দাক্ষিণ্য ১০ আসন নিয়ে বিধানসভায় বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে রাজ্য রাজনীতির এক সময়ের দানবীয় শক্তি সিপিআইএম সহ বাম জোট।
  


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *