” বড়বাবু থেকে মেজ বাবু এবং ছোট বাবু দপ্তরের প্রত্যেকের পকেটে গুঁজে দিতে হয় নোট। আর দপ্তরের বাইরে থাকা নেতাবাবুদের সাদা ধবধবে পাঞ্জাবির পকেটেও লাল খামে করে মা লক্ষ্মীকে বসিয়ে দিতে হয়। এটাই রেওয়াত। ত্রিপুরায় বাম – রাম উভয় জমানাতেই স্বাভাবিক ছন্দে চলছে এই কমিশন বাণিজ্য।তাই নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্দা ফাঁস হয়ে যায় নিম্ন মানের কাজের বহর।”…

জল জীবন মিশনের পাহাড় সমান দুর্নীতি।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৫জুন।।
কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার মানুষের দরজায় পৌঁছে দিচ্ছে সরকারী প্রকল্পের সুবিধা। তার জন্য খরচ করছে অর্থ।কিন্তু এই অর্থের যথার্থ ব্যবহার হচ্ছে কিনা এটার খোঁজ নেবে কে? তার জন্য অবশ্যই আছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ।আছেন আমলা সহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারী। কিন্তু কোথায় ?রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকার আদ্য শ্রাদ্ধ করছে নির্মাণ কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদাররা! এতে তাদের কোন দোষ নেই।

কারণ, বড়বাবু থেকে মেজ বাবু এবং ছোট বাবু দপ্তরের প্রত্যেকের পকেটে গুঁজে দিতে হয় নোট। আর দপ্তরের বাইরে থাকা নেতাবাবুদের সাদা ধবধবে পাঞ্জাবির পকেটেও লাল খামে করে মা লক্ষ্মীকে বসিয়ে দিতে হয়। এটাই রেওয়াত। ত্রিপুরায় বাম – রাম উভয় জমানাতেই স্বাভাবিক ছন্দে চলছে এই কমিশন বাণিজ্য।তাই নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্দা ফাঁস হয়ে যায় নিম্ন মানের কাজের বহর।

রাজ্যের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে জল। কেন্দ্রীয় প্রকল্প জল জীবন মিশনের মাধ্যমে এই কাজ শুরু করেছে ডিডব্লিউএস। মানুষের বাড়িতে জলের লাইন সহ পাকা স্লেপ তৈরি করে দিচ্ছে।

গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়াতে শুরু করেছে কাজ। অবাক করার মতো বিষয় নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটে স্লেপের গঙ্গা প্রাপ্তি।

মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা এক মহিলার বক্তব্য, স্লেপ তৈরি করার পরই তা ভেঙ্গে চৌরচির।কারণ কাজ ছিলো অত্যন্ত নিম্ন মানের। গ্রামবাসীদের দাবী, বেশ কিছুদিন আগে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছিল ডি ডব্লিউ এস দপ্তরের আধিকারিকদের।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় এলাকাবাসীদের সন্দেহ, সরকারি কাজে এই কারচুপির পেছনে জড়িত ডি ডব্লিউ এস দপ্তরের লোকজনও ।