ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭ অক্টোবর।।
       দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে রাজনীতির বড় ক্লাইম্যাক্স। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ব্যতীত বাকি সব মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তা নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রীরা তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্রগুলি গ্রহণও করেছেন। তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। শুক্রবার, গুজরাট মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ও বদল হবে। তার আগে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার ১৬ জন সদস্য একযোগে ইস্তফা দিয়েছেন।
     খবর অনুযায়ী ,শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের ক্যাবিনেট অর্থাৎ গুজরাট মন্ত্রিসভার রদবদল। সম্ভাবনা রয়েছে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হওয়ার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে এই রদবদল হবে। রাজ্যের সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১:৩০ টায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হবে। খবর, প্রায় ১০ জন নতুন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। বর্তমান মন্ত্রীদের প্রায় অর্ধেকের বেশি সংখ্যক মন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা হবে নতুন মন্ত্রিসভায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ডাকা এক বৈঠকে উপস্থিত সকল মন্ত্রীরা ইস্তফাপত্র তুলে দেন। সেখানে হাজির ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। সূত্রের খবর, বনসল ও মুখ্যমন্ত্রী প্যাটেল প্রত্যেক মন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন। সেখানে তাঁদের জানানো হয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে যে, সকলকে ইস্তফা দিতে হবে।
     মুখ্যমন্ত্রী-সহ, বর্তমানে গুজরাট মন্ত্রিসভায় ১৭ জন মন্ত্রী রয়েছেন। আটজন ক্যাবিনেট পর্যায়ের এবং সমান সংখ্যক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গুজরাটের রাজ্য বিধানসভার মোট সদস্য সংখ্যা ১৮২। নিয়ম অনুযায়ী, গুজরাটে সর্বাধিক ২৭ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন।যা মোট সদস্য সংখ্যার ১৫ শতাংশ। এই মাসের শুরুতে, প্রতিমন্ত্রী জগদীশ বিশ্বকর্মাকে বিজেপির গুজরাট ইউনিটের নতুন সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছিল।তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি.আর. পাতিলের স্থলাভিষিক্ত হন।
        প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভার নির্বাচনের প্রায় দুবছর আগে এই ব্যাপক রদবদল হতে চলেছে। সাধারণত, বিধানসভা ভোটের বছর দুই আগে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে থাকে পার্টি। ভোটের ঠিক আগে আগে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, কলঙ্কমুক্ত, জাতভিত্তিক একজনকে মুখ্যমন্ত্রী করে থাকে দল। যাতে সরকার বিরোধী হাওয়াকে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। ফলে স্পষ্ট, ২০২৭-র ভোটের আগেই গুজরাট মন্ত্রিসভায় নতুন তরতাজা মুখ এবং জাত ও আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করার চেষ্টা চলছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *