বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতকে ডিঙিয়ে আমেরিকা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না।
।ভারত – বাংলাদেশ – আমেরিকার পতাকা।
“ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের বিষয়টি দেখছেন।কারণ ভারত দীর্ঘ দিন দিন ধরেই বাংলাদেশ ইস্যুতে কাজ করছে। এই বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিজ্ঞতা অনেক বেশী। তাই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি ছেড়ে দেবো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপর।”- ট্রাম্প
ডেস্ক রিপোর্টার,১৪ ফেব্রুয়ারি।। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ – রাজনীতিতে ভারতই সবচেয়ে শক্তিশালী।এবং গোটা অঞ্চলের নির্ণায়ক শক্তি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ঠারেঠোরে এটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইট হাউজে নরেন্দ্র মোদীকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ইস্যুতে করা প্রশ্নের উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করেই বলেন, ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের বিষয়টি দেখছেন।কারণ ভারত দীর্ঘ দিন দিন ধরেই বাংলাদেশ ইস্যুতে কাজ করছে। এই বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিজ্ঞতা অনেক বেশী। তাই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি ছেড়ে দেবো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপর। পাশে বসে থাকা নরেন্দ্র মোদীর দিকে ইঙ্গিত করেই একথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ভারতীয় কূটনীতিকরা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতকে ডিঙিয়ে আমেরিকা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। বাংলাদেশ ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর চাপে পড়ে গিয়েছেন মো: ইউনূস মিয়া। শুরু হয়েছে তাঁর হাঁটুর কম্পন। প্রসঙ্গত গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আমেরিকার শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এতটা আশাব্যঞ্জক বার্তা ভারতও এই প্রথম পেয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব।
।।হতাশ ইউনূস মিয়া।।
না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না।
হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প – মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ ভাবে সাংবাদিক সন্মেলনে আসেন দুই রাষ্ট্র নায়ক ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী। তখনই এক সাংবাদিক ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট জড়িত ছিল। সম্প্রতি মো : ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের বৈঠকেও তা প্রমাণিত। তো বাংলাদেশ নিয়ে আপনি কী বলবেন?’ ডোনাল্ড ট্রাম্প জবাব দেন, ‘না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন।’
ইউনূস তাঁর ভাগ্য আকাশে অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকার কাছে ভারতের অবস্থান কোথায়? ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই বৈঠকের পর ইউনূস তাঁর ভাগ্য আকাশে অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন বলেই মনে করছেন বিশ্বের রাজনীতিক ও কূটনীতিকরা।